অগ্নিবীর নিয়ে ব্যাকফুটে মোদি সরকার! সংশোধন হতে পারে পুরো প্রকল্প

বিরোধীদের চাপে পড়ে অবশেষে অগ্নিবীর (Agnivir) প্রকল্প সংশোধনের পথে হাঁটতে চলেছে মোদি সরকার৷ সূত্রের দাবি, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা ভোটের মুখে বিপর্যয় ঠেকাতে এবার অগ্নিবীর প্রকল্প সংশোধনের কথা ভাবছে কেন্দ্র (Centre)। নতুন ভাবনায় অগ্নিবীর প্রকল্পের আওতায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্ত সেনা জওয়ানদের সুযোগ সুবিধে বহুগুণ বাড়িয়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করা হচ্ছে।বর্তমান নিয়মে চার বছরের চুক্তিকালের পরে ২৫ শতাংশ অগ্নিবীরকে (Agnivir)  ভারতীয় সেনায় (Indian Army) পুনর্নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে৷ সরকারি সূত্রের দাবি, নতুন পরিকল্পনায় ২৫-র পরিবর্তে অন্তত ৫০ শতাংশ অগ্নিবীরকে তাদের চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে ভারতীয় সেনায় নিয়োগের সিদ্ধান্ত হতে পারে। একইসঙ্গে বাড়ানো হতে পারে অগ্নিবীরদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধে। সূত্রের দাবি, সেনার সঙ্গে বহাল থাকা চুক্তির মেয়াদের পরে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগিয়ে অগ্নিবীররা যাতে সহজ শর্তে ব্যাঙ্ক ঋণ পেতে পারেন সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি থাকছে শহিদ অগ্নিবীরদের পরিবারকে দেওয়া আর্থিক সাহায্য বৃদ্ধির সম্ভাবনাও৷অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়ে মোদি সরকারের অস্বস্তি নতুন নয়৷ এবারের লোকসভা ভোটে বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির খারাপ ফলের জন্য দায়ী এই প্রকল্প বলে অভিযোগ বিজেপির ভোট পরবর্তী সমীক্ষা রিপোর্টে। এই প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্র বিরুদ্ধে সবার আগে সরব হয়েছিল তৃণমূল৷ দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের নির্দেশে সংসদের ভিতরে ও বাইরে প্রতিবাদ জানান তৃণমূল সাংসদরা৷  এর পরে প্রতিবাদে সামিল হয় কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও৷

এই আবহে চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটের মুখে নতুন করে চাপে পড়েছে তৃতীয় মোদি সরকার৷ ইতিমধ্যেই আটকে গিয়েছে সরকার প্রণীত ওয়াকফ সংশোধনী বিল। বাতিল করা হয়েছে ইউপিএসসি ল্যাটারাল এন্ট্রি। চাপ বাড়ছে জাতিগত জনগণনা নিয়েও। এর উপরে এনডিএ শরিকদের প্রবল আপত্তি আছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়েও। চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে মরিয়া হয়ে অগ্নিবীর প্রকল্প পরিমার্জনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।










Previous articleR G Kar-কাণ্ডে পরিবারকে টাকা অফার! CBI জানে? প্রশ্ন তৃণমূলের
Next articleস্কুল চলাকালীন আন্দোলন করবেন না: ব্রাত্য বসু