জেলমুক্তির পরেই ‘পদত্যাগে’র রাজনীতি! কেজরির পক্ষে মুখ খুললেন অভিষেক সাংভি

আপের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর অফিসে না গিয়ে নিজের বাসভবনে বসেও সরকার চালাতে পারেন

তিহার জেল থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মুক্তির পরই চাপে ফেলার রাজনীতি শুরু করল বিজেপি। কেজরিওয়াল কোনও ফাইলে সই করতে পারবেন না, আইটি সেলের পক্ষ থেকে এই বার্তা ছড়িয়ে দিল্লিবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলে। সেই সঙ্গে এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে কেজরিওয়ালের পদত্যাগের দাবিতেও সরব হয় বিজেপি। তবে আদতে এটা যে শুধুই গুজব, স্পষ্ট করে দিলেন দিল্লি মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী সাংসদ অভিষেক মনু সাংভি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তুলে ধরে বার্তা দিলেন সাংভি।

শুক্রবারই দেশের শীর্ষ আদালতে জামিন পেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ শীর্ষ আদালতের তরফে প্রদত্ত জামিনের শর্তে কি বলা হয়েছে? দুটি সুপ্রিম শর্ত সামনে আসার পরেই বিজেপির তরফে প্রশ্ন তোলা হয় মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ভবিষ্যত নিয়ে৷ জামিনে মুক্তি পেলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রকৃতপক্ষে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কোনও কাজই করতে পারবেন না, কোনও ফাইলে সই করতে পারবেন না, এমন দাবি করা হয় বিজেপির তরফে৷ ফলে তাঁর এখনই পদত্যাগ করা উচিত, দাবি তোলে বিজেপি শিবির৷

কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভির যুক্তি, বিভিন্ন মহল থেকে বলার চেষ্টা হচ্ছে যে অরবিন্দ কেজরিওয়াল কোনও ফাইলে সই করতে পারবেন না৷ এর আগে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়া অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অন্য কোনও পোর্টফোলিও নেই৷ উনি কোনও ফাইলে সই করতেন না৷ দিল্লির উপরাজ্যপালের কাছে যে সব ফাইল পাঠানো হত সেই সব ফাইলেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সই করতেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ সুপ্রিম কোর্ট এখনকার রায়ে একই কথা বলেছে৷ উপরাজ্যপালের কাছে যে সব ফাইল যাবে সেখানে আগের মতই সই করতে পারবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ সরকারি কাজের বাকি ফাইলগুলিতে সই করবেন দিল্লি সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীরা৷ আগেও তাই হয়েছে৷ অরবিন্দ কেজরিওয়াল কিছুই করতে পারবেন না, এই তথ্য ছড়ানোর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে, দাবি সাংভির।

শুক্রবার জামিন দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট যে শর্ত দেয়, তাতে উল্লেখ ছিল এই মামলা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারবেন না কেজরিওয়াল। কেজরিওয়াল নিজের দফতর ও মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে বসতে পারবেন না। উপরাজ্যপালের কাছে সইয়ের জন্য যে সব ফাইল আসবে তার বাইরে কোনও ফাইল তিনি সই করতে পারবেন না। আপের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর অফিসে না গিয়ে নিজের বাসভবনে বসেও সরকার চালাতে পারেন৷ এই ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করেনি সুপ্রিম কোর্ট।