Thursday, December 18, 2025

কলকাতা পুলিশ এলাকার ছ’টি সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তায় শুরু হচ্ছে ‘রাত্তিরের সাথী’

Date:

Share post:

আরজি কর-কাণ্ডের আবহ এখনও মেলায়নি।রাজ্য ছাড়িয়ে দেশ, দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও এই প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত হয়।এর কিছুদিন পরই কর্মস্থলে মহিলাদের নিরাপত্তায় জোর দিতে আসরে নামে নবান্ন। অগাস্ট মাসেই ১৭ দফা পদক্ষেপের ঘোষণা করা হয়।সেই পদক্ষেপরই অন্যতম, ‘রাত্তিরের সাথী—হেল্পার অ্যাট নাইট’। সেটি চালুর বিষয়ে এবার আনুষ্ঠানিক ভাবে সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হল।প্রাথমিক ভাবে কলকাতা পুলিশের এলাকার ছ’টি সরকারি হাসপাতালকে এর আওতায় আনা হয়েছে।

রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, রাজ্যপালের অনুমতি অনুযায়ী কলকাতা পুলিশের এলাকায় চারটি সরকারি হাসপাতাল, একটি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এবং একটি জেলা হাসপাতালে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে পর্যবেক্ষণ, নজরদারি ও সমন্বয় গড়ে তোলা হবে এই কর্মসূচির মাধ্যমে।প্রতিটি হাসপাতালের দায়িত্বে থাকবেন এক জন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার।কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সুপারিশের ভিত্তিতেই ওই ছ’জন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারকে ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পে নিয়োগ করা হবে।

প্রসঙ্গত, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় শুনানিতে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের নিরাপত্তায় টাস্ক ফোর্স গঠনের প্রস্তাব দেন। রাজ্যের সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, জেলা হাসপাতাল এবং সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ, সেনা অফিসার, নৌবাহিনী, বায়ুসেনার অফিসার মোতায়েনের জন্য একটি নির্দেশিকাও জারি করেছিলেন রাজ্য পুলিশের তৎকালীন এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ বর্মা। কাকতালীয়ভাবে, তিনিই এখন কলকাতার পুলিশ কমিশনার।

কী বলা হয়েছিল ওই নির্দেশিকায়? বলা হয়েছিল, গত দু’বছরের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ ইনস্পেক্টর থেকে এসপি, যারা এখনও কর্মক্ষম এবং হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা তদারকি করতে ইচ্ছুক, তাদের তালিকা তৈরি করতে হবে। একই ভাবে অবসর নেওয়া সেনা অফিসার, নৌবাহিনীর অফিসার বা বায়ুসেনার অফিসারদেরও একটি তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছিল। চিকিৎসক, শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ কাজের পরিবেশ তৈরির উদ্দেশ্যে প্রথম দফায় শহরের ছ’টি হাসপাতালে চালু হল ‘রাত্তিরের সাথী’ কর্মসূচি।তালিকা অনুযায়ী ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নওশাদ আলি, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অনুজ হোম রায়, এসএসকেএমে অরবিন্দকুমার মিশ্র, এনআরএল মেডিক্যাল কলেজে আসিফ জামাল, মেটিয়াবুরুজ (গার্ডেনরিচ এসজিএফ)-এ দেবাশিস চক্রবর্তী এবং এমআর বাঙুরে বিশ্বজিৎ রায় দায়িত্ব পেয়েছেন।এরা প্রত্যেকেই কলকাতা পুলিশের ডেপুটি বা অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদে কর্মরত ছিলেন।অন্যদিকে,  সুপ্রিম নির্দেশে বর্তমানে আরজি কর হাসপাতালের দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।









 

spot_img

Related articles

নিউটাউনের ঝুপড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

উত্তর ২৪ পরগনার নিউটাউনে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার সন্ধ্যার পর...

বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ: বিনিয়োগের বার্তা নিয়ে শিল্পপতিদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে শিল্প ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে আরও বিস্তৃত করতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ’। ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে...

২২ জানুয়ারি থেকে শুরু ৪৯তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা, ভার্চুয়ালেও মিলবে মেলার স্বাদ

আর দেড় মাসের অপেক্ষা। আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে ৪৯তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। বইপ্রেমীদের জন্য এ...

যুবভারতীর বিশৃঙ্খলা-কাণ্ডে শোকজের জবাব জমা তিন শীর্ষ কর্তার

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার ঘটনায় শোকজের জবাব জমা দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, ক্রীড়া...