নাবালিকার খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে মূল অভিযুক্ত। মর্মান্তিক মৃত্যুতে বিচলিত গোটা রাজ্য। নয় বছরের নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় এবার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। পকসো (POCSO) আইনে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে নাবালিকাকে বিচার পাইয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দিলেন পুলিশকে।

অপরাধের পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীকে গ্রেফতার। প্রতিনিয়ত পরিবারের পাশে থেকে হাইকোর্ট থেকে কল্যাণীর এইমসে (Kalyani AIIMS) ময়নাতদন্তের রায় আদায় করিয়ে দেওয়াতেও বারুইপুর জেলা পুলিশ (Baruipur police district) এগিয়ে এসেছে। এরপরেও রাজনীতি জারি রাখতে কুলতলিকে রবিবারও দিনভর অশান্ত রাখার চেষ্টা করেছে বিজেপি। সেই ঘটনায় এবার পুলিশকে কড়া নির্দেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি জানান, “আমি চাই কুলতলির ঘটনাটাও পুলিশ পকসো (POCSO) কোর্টে করে তিন মাসের মধ্যে ফাঁসির নির্দেশ বের করবে।”

রাজ্য পুলিশের তদন্তে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনায় বিচার পেয়েছেন নির্যাতিতারা। রাজ্য পুলিশেরই তদন্তের জেরে আদালত সর্বোচ্চ শাস্তিও শুনিয়েছে। সেই উদাহরণ তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, “অপরাধ অপরাধই। অপরাধের কোনও ধর্ম, বর্ণ, জাতি অংশ হয় না। যে অপরাধ করবে তার বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ হবে। আমাদের এখানে তিনটি ফাঁসির নির্দেশ ইতিমধ্যেই হয়েছে।”

অপরাধের তদন্ত ও অপরাধী চিহ্নিত করতে রাজ্য পুলিশের এতদিনের সুনাম নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বারবার পুলিশের দক্ষতা যেভাবে প্রমাণিত হয়েছে তাতে ভারতীয় সেনার সমান সম্মান পায় রাজ্য পুলিশ, দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই পুলিশের উপর কুৎসিত আক্রমণের নিন্দা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “হাজারটা কাজের মধ্যে অযাচিতভাবে একটু ভুল ত্রুটি হয়ে গেলে সেটাকে নিয়ে কুৎসিতভাবে চক্রান্ত করা হয়। মনে রাখতে হবে ভারতীয় সেনার (Indian Army) থেকে সম্মান কলকাতা পুলিশের একাংশ কম নয়।”

