বাংলা জুড়ে উৎসবের আমেজ। মহালয়া (Mahalaya) থেকে পুজো উন্মাদনার সাক্ষী মহানগরী। সাবেকি বনাম থিমের লড়াইয়ে সেরা পুজো প্যান্ডেল এবং প্রতিমা বেছে নিল বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান (Biswabangla Sharod Samman 2024)। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্যোগে ২০১৩ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal) দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে পুরস্কার দেওয়া শুরু করেছে। ষষ্ঠীর বিকেলে ঘোষিত হল চলতি বছরের পুরস্কার প্রাপকদের তালিকা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন (Indranil Sen)। প্রতিযোগিতায় ৩২টি পুজো কমিটিকে সেরার সেরা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেরা সাবেকি পুজোর পুরস্কার পাচ্ছে ছটি পুজো কমিটি। এবছর পাঁচটি সেরা মণ্ডপ, তিনটি সেরা প্রতিভা পনেরোটি সেরা ভাবনা, পদ্ধতি সেরা পরিবেশবান্ধব পুজো এবং তিরিশটি বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।

বাংলার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ শারদোৎসব। ইউনেস্কোর (UNESCO) হেরিটেজ তকমা পাওয়া কলকাতার পুজোর পাশাপাশি জেলার দুর্গাপুজোও সমানভাবে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। বাঙালির শিল্পচেতনার গরিমাকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বিশ্ব বাংলার শারদ সম্মান দেওয়া হয়। এবছর অন্যান্য রাজ্য এবং দেশ বিদেশের পূজা কমিটির কাছ থেকে অনলাইনে এর মাধ্যমে আবেদন পত্র চাওয়া হয়েছিল। কলকাতা ছাড়াও বাকি ২২টি জেলার পুজো কমিটিকে সেরা পুজো, প্রতিমা, মণ্ডপ, ও সমাজ সচেতনতা বিভাগের জন্য ‘বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান ২০২৪’ ঘোষণা করা হলো। এবছর সেরার সেরা পুজো কমিটির তালিকায় স্থান পেয়েছে ত্রিধারা অকালবোধন, টালা প্রত্যয়(Tala Pratyay), সুরুচি সংঘ (Suruchi Sangha), চেতলা অগ্রণী, শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব (Sreebhumi Sporting Club), কালীঘাট মিলন সংঘ- সহ মোট ৩২টি পুজো। সেরা সাবেকি পুজোর তালিকায় বাগবাজার সর্বজনীন, একডালিয়া এভারগ্রিন, সিংহী পার্ক, সিমলা ব্যায়াম সমিতি-সহ মোট ছটি পুজো রয়েছে।
