নিম্নচাপের প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ার ম্যাজিক দেখানো শুরু। চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন থেকেই বদলাবে প্রকৃতি। আসছে ঘূর্ণিঝড় ডানা (Cyclone Dana)। মঙ্গলবার থেকে ঝড়-বৃষ্টির প্রভাব বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়। ২২ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকবে, প্রায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। শনিবার মধ্য আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। মধ্য বঙ্গোপসাগরে সোমবার সেই সিস্টেম নিম্নচাপে পরিণত হবে যা আগামী বুধবার নাগাদ মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপের আকার নেবে। শক্তি বাড়ি এটা অন্ধ্রপ্রদেশ বা মায়ানমার উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হলেও একেবারে নিশ্চিন্তে নেই বাংলা। ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হতে পারে পশ্চিমবঙ্গেও।

দক্ষিণবঙ্গে রবিবার থেকে পুরোপুরি শুষ্ক আবহাওয়ার পূর্বাভাস (South Bengal Weather) রয়েছে, খুব একটা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বিদেশি ওয়েদার আপডেট সংস্থার রিসার্চ অনুসারে আগামী সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে। এর প্রভাবে আগামী ২৪-৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ওই অঞ্চলে একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে। IMD বলছে আগামী ২৩-২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ওড়িশার বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।আন্দামান সমুদ্রের উপর নিম্নচাপ এলাকা তৈরি হওয়ার পরে, ২০ অক্টোবর এবং তার কাছাকাছি সময়ে, সিস্টেমটি পশ্চিমে ট্র্যাক করবে কেন্দ্রীয় বঙ্গোপসাগরে পৌঁছানোর জন্য, যেখানে সিস্টেমটি তীব্র হবে বা ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হবে। এরপর সিস্টেমটি ২২-২৩ অক্টোবরের মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ECMWF, NCUM-G, ACCESS-র আবহাওয়ার মডেলগুলি বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিম দিকে ঘূর্ণিঝড় সিস্টেম ট্র্যাকিং এবং ২৩-২৪ অক্টোবর ওড়িশাতে ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা দেখলেও, IMD –GFS মডেল উপসাগরে উত্তর-উত্তর-পশ্চিমে ট্র্যাকিং সিস্টেমের পূর্বাভাস দিচ্ছে। অর্থাৎ ২৬ বা ২৭ অক্টোবর জগৎসিংপুর কিংবা পারাদীপের মতো ওড়িশার উপকূলীয় অঞ্চলগুলিকে অতিক্রম করে ২৯ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গেরও কোথাও ল্যান্ডফল হতে পারে৷
