পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal) পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য টাকা দিচ্ছে। কিন্তু সেই টাকা চলে যাচ্ছে অন্যের অ্যাকাউন্টে! কীভাবে? খবর প্রকাশ্যে আসার পরই তদন্তে নামে স্কুল শিক্ষা দফতর (Department of School Education)। প্রাথমিক একটি রিপোর্ট মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে (Manoj Panth) জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রত্যেক জেলা থেকে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা সংক্রান্ত রিপোর্ট চাইছে নবান্ন। ট্যাব তদন্তে বড় পদক্ষেপের পথে রাজ্য।

বাংলার ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে পড়াশোনা করতে কোনও অসুবিধা না হয় সে ব্যাপারে সর্বদা সথেষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তারই উদ্যোগেই পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য টাকা দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই মতো রাজ্য সরকার প্রায় ১৮ লক্ষ শিক্ষার্থীকে টাকা পাঠিয়েছে ঠিকই, কিন্তু অনেক পড়ুয়াই টাকা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। পূর্ব বর্ধমান এবং পূর্ব মেদিনীপুরে এই অভিযোগ সব থেকে বেশি। ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরের চারটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নামে এফআইআর করা হয়েছে। জালিয়াতি নাকি গাফিলতি তা জানতে চায় শিক্ষা দফতর। পড়ুয়াদের পরিবর্তে যে যে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে সেগুলোকে ফ্রিজ করা হয়েছে। যাঁরা টাকা পাননি তাঁদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, টাকা উদ্ধার করা না গেলে ফের রাজ্য সরকার ট্যাবের টাকা পাঠাবে। যে ১৮ লক্ষ পড়ুয়াকে টাকা পাঠানো হয়েছে, নাম ধরে ধরে প্রত্যেকের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা স্কুল পরিদর্শকদের। ট্যাবের টাকা গায়েব তদন্তে সাইবার সেল।

