Friday, August 22, 2025

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও ‘সংখ্যালঘু’ তকমা ফিরে পাওয়ার পথ খুলল আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের

Date:

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (AMU) কি ‘সংখ্যালঘু’ তকমা ফিরে পাবে? চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুক্রবারের শুনানিতে সেই পথ খুলল। কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই ‘সংখ্যালঘু’ তকমা দাবি করতে পারে না- ১৯৬৭ সালে এক ঐতিহাসিক রায়ে এই কথা জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু এদিন ওই রায় খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্টের সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। পক্ষে-বিপক্ষে ৪:৩ রায়ে বেঞ্চ জানিয়ে দিল, ‘সংখ্যালঘু’ তকমা দাবি করতেই পারে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। তবে, ওই বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যালঘু সেটি ফিরে পাবে কি না- তা ঠিক করবে অন্য বেঞ্চ।

শীর্ষ আদালতের ১৯৬৭ সালের রায়ে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (AMU) সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা হারায়। সেই সময় সুপ্রিম কোর্ট জানায় কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাবি করতে পারে না। এর পরে ১৯৮১ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের আমলে আইন সংশোধন করে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ইন্দিরা গান্ধীর আনা সেই সংশোধনীকে ২০১৬ সালে ‘অসাংবিধানিক’ বলে খারিজ করে দেয় এলাহাবাদ হাই কোর্ট। এই রায়ের পাল্টা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

AMU-কে সংখ্যালঘু বিশ্ববিদ্যালয়ের তকমা না দেওয়ার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জোরাল সওয়াল করে মোদি সরকার। কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, ‘জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানে’-র তকমা পেয়েছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। কোনও ‘জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান’ নির্দিষ্ট কোনও ধর্মের বা নির্দিষ্ট কোনও জাতির বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে না। ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক-স্বাধীনতা যুগেও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল। সেটিকে শুধুমাত্র সংখ্যালঘুদের বিশ্ববিদ্যালয় বলা যায় না।

নিজের কর্মজীবনের শেষদিনে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এই মামলায় ৪:৩ বিভাজনের ভিত্তিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির মত নিয়ে রায় দেন। আর সেখানে ১৯৬৭ সালের সিদ্ধান্ত খারিজ করা হয়েছে। অর্থাৎ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যলয়ের সংখ্যালঘু তকমা দাবি করায় কোনও বাধা রইল না। তবে তকমা ফেরানো হবে কি না, সেটা সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ নির্ধারণ করেনি। সেটার জন্য তিন বিচারপতির একটি পৃথক বেঞ্চ গঠন করা হবে। তারাই এই সিদ্ধান্ত নেবে।







Related articles

আস্থা কোথায়? প্রধানমন্ত্রীর সভার দিন বুঝিয়ে দিলেন দিলীপ, কটাক্ষ তৃণমূলের

দৃশ্য এক, বিজেপির নক্ষত্রখচিত মঞ্চ। মালা, উত্তরীয়তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) বরণ করছেন একের পর এক বঙ্গবিজেপির...

বাংলা বিদ্বেষীকে পাশে বসিয়ে বাঙালি প্রেম! মোদির দ্বিচারিতাকে ধুইয়ে দিল তৃণমূল

বাংলায় এলেই বাংলা ভাষায় বক্তৃতা। এ তো নরেন্দ্র মোদির রেওয়াজ হয়েছেই। সম্প্রতি তিনি উত্তর ভারতের গোবলয়ের দেব-দেবী ছেড়ে...

রায় বেরোনোর পরেই জয়েন্টের তালিকা প্রকাশ: বোর্ডের কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা হাই কোর্ট ওবিসি সংক্রান্ত যে জট দীর্ঘদিন ধরে পাকিয়ে রাখার চেষ্টা করে চলেছিল, শুক্রবার তা প্রতিহত হয়...

বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীর পেনশনের আবেদনও খারিজ! আদালতে মুখ পুড়ল কেন্দ্রের

ইতিহাসকে বিকৃত করার বিজেপি-আরএসএসের যৌথ পরিকল্পনায় চরম দুর্দশা বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের। নরেন্দ্র মোদি মুখে বাঙালি বিপ্লবীদের নাম নিলেও...
Exit mobile version