ভোরের আলো ফোটার আগেই রেল দুর্ঘটনার খবর শিরোনামে। এবার লাইনচ্যুত হল শালিমার-সেকেন্দ্রাবাদ সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস (Shalimar Sekendrabad weekly Express) !সেকেন্দ্রাবাদ থেকে শালিমারের দিকে আসার পথে নলপুরের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে (Rail Accident। এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে খবর। একটি পার্সেল ভ্যান হলেও দু’টি কামরায় যাত্রীরা ছিলেন। দুর্ঘটনার জেরে দক্ষিণ-পূর্ব শাখার একাধিক ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।

কেন্দ্রের অধীনস্থ ভারতীয় রেলের অপদার্থটা আর যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে ছেলেখেলা করার ছবিটা ফের শনিবার সকালে ধরা পড়ল। শনিবার ভোর ৫টা ৩১ মিনিট নাগাদ ডাউন শালিমার-সেকেন্দ্রাবাদ সাপ্তাহিক এক্সপ্রেসে হঠাৎ ঝাকুনি আর তীব্র শব্দে রীতিমতো হতচকিত হয়ে যান যাত্রীরা। মনে করা হচ্ছে, যে লাইনে ট্রেনটির ঢোকার কথা ছিল, সেখানে না ঢুকে পাশের লাইনে চলে গিয়েছিল ইঞ্জিন। গতি কম থাকায় হতাহতের খবর মেলেনি। এক মহিলা সামান্য চোর পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আধিকারিকেরা।

দুর্ঘটনা জেরে দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় রেল চলাচল ব্যাহত। সকাল থেকে যাত্রী হয়রানি ছবি খড়গপুর রেল স্টেশনে। হাওড়াতেও একই দৃশ্য। হাওড়া পুরী বন্দেভারত, জনশতাব্দী, রাউরকেল্লা এক্সপ্রেস পর পর দাঁড়িয়ে রয়েছে হাওড়াতে। চম্বলপুর এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে রয়েছে, হাওড়া মুম্বাই মেল প্রায় ঘণ্টা লেট, দাঁড়িয়ে রয়েছে টাটানগর স্টেশনে। লোকাল ট্রেন পরিষেবাও বিঘ্নিত হয় হয়েছে বলে খবর। পরিস্থিতি কতক্ষণে স্বাভাবিক হবে তা স্পষ্ট নয়। সাঁতরাগাছি এবং খড়গপুর থেকে সহায়ক ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌছে গেছে। যাত্রীদের গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১০টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ওমপ্রকাশ চরণ।
