মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা।দেরাদুনের এই দুর্ঘটনায় একসঙ্গে প্রাণ গিয়েছে ছ’জনের। কপাল জোড়ে একজন বেঁচে গিয়েছেন। ইনোভার সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা হয়।যে ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল, তাতে দেখা গিয়েছে, কারও দেহ রয়েছে, মাথা নেই, কেউ আবার পিষে গিয়েছেন গাড়ির ভিতরেই। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বিশ্ব বাংলা সংবাদ। দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে তীব্র গতিতে ছুটে আসা গাড়ি। দেরাদুনের ১২ নভেম্বর রাতের দুর্ঘটনায় শিউরে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। ওইদিন আরও একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এই ভিডিওটিরও সত্যতা যাচাই করেনি বিশ্ব বাংলা সংবাদ। সেখানে যে সাতজন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল, তাদের দেখা গিয়েছে। তারা উদ্দাম নৃত্য করছেন, কেউ অন্যের গ্লাসে ঢেলে দিচ্ছেন মদ। জানা গিয়েছ, ওই ভিডিওটি তোলা হয়েছে দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগে।

গাড়িতে ছিলেন বছর তেইশের কুণাল কুক্রেজা, নভ্যা গোয়েল, ২৪ বছরের অতুল আগরওয়াল, ঋষভ জৈন, ২০ বছর বয়সী কামাক্ষী এবং গুনীত, বয়স ১৯। প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ২৫ বছরের সিদ্ধেশ আগরওয়াল।যদিও তিনি এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ইনোভা গাড়িটি সুনীল আগরওয়ালের। তিনি ধনতেরাসের সময় ওই গাড়িটি কিনেছিলেন। অতুল আগরওয়াল তার পুত্র। দুর্ঘটনার সময় অতুলই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। জানা গিয়েছে, নেশার ঘোরে রাতের পথে একটি বিএমডব্লিউ গাড়িকে ধাওয়া করে টপকে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই জন্য গাড়ির গতি তীব্র থেকে তীব্র করেছিলেন। তাতেই ঘটে বিপত্তি, মর্মান্তিক পরিণতি। দ্রুত গতিতে চলা ইনোভা সাতজনকে নিয়ে ধাক্কা মারে ডাম্পারে, তারপরেই ধাক্কা ট্রাকের সঙ্গে।মৃত্যু হয় ছয় জনের।

