Sunday, August 24, 2025

ফরাক্কায় নাবালিকার ধর্ষণ-খুনে ৬০ দিনে সাজা, রাজ্য পুলিশ-বিচার ব্যবস্থাকে অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর

Date:

Share post:

৬০ দিনের মাথায় ফরাক্কায় নাবালিকার ধর্ষণ-খুনের মামলায় সাজা ঘোষণা করল আদালত। দোষী একজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্যজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন বিচারর। এর পরেই ঘটনার তদন্তে রাজ্য পুলিশের তৎপরতা নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় সন্তোষপ্রকাশ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিজের এক্স হ্যান্ডেল (X-Handle) তিনি রাজ্য পুলিশ এবং বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ৯০ দিনেও চার্জশিট দিতে পারে নি সিবিআই। অথচ ফরাক্কায় (Farakka) শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় রাজ্য পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত করে। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায়ের নেতৃত্বে তদন্তকারী দল মাত্র ২১ দিনে এই মামলার চার্জশিট দিয়েছিল। বৃহস্পতিবারই ২ অপরাধীকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। দোষী দীনবন্ধু হালদারকে ফাঁসি ও শুভজিৎ হালদারকে যাবজ্জীবন সাজার নির্দেশ দেন অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতের বিচারক অমিতাভ মুখোপাধ্যায়।

১৩ অক্টোবর ফরাক্কায় (Farakka) মামার বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণ ও খুন হয় ওই নাবালিকা। শুধু তাই নয়, পুলিশি তদন্ত এবং ওই নাবালিকার পোস্টমর্টেম রিপোর্ট থেকে জানা যায়, দুই অপরাধী নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা ছাড়াও বিভিন্ন শারীরিক অত্যাচার করেছিল। মৃতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন এবং মাথায় গুরুতর আঘাতের উল্লেখ ছিল ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। এই মামলাটিকে প্রমাণিত করার জন্য পুলিশের তরফ থেকে একাধিক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার পাশাপাশি, ফরেন্সিক সাইন্স ল্যাবরেটরির ‘টুল কিট’ ব্যবহার করা হয়েছে। রাজ্যে এই প্রথম ‘ড্রোন ম্যাপিং’ করা হয় এই মামলায়। পরিকল্পনা মাফিক খুন বলে জানান কলকাতার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার। তিনি জানান, নাবালিকার মৃত্যুর পরেও তার উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। জয়নগরের মতো তাঁদের লক্ষ্য ছিল দ্রুত চার্জশিট পেশ করা যাতে বিচার প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি হয়।

এদিন সাজা ঘোষণা পরে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন,
“সবে এক সপ্তাহ আগে, রাজ্য পুলিশ এবং আমাদের বিচার ব্যবস্থা জয়নগরে এক নাবালিকার নৃশংস ধর্ষণ-খুনের অপরাধীর মাত্র ৬২ দিনে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করেছে। আজ, ১৩.১২.২৪ তারিখে ফরাক্কায় আরেকটি নাবালিকাকে জঘন্য ধর্ষণ-হত্যার ঘটনায় দুই অভিযুক্তের একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তার সহ-অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আমি আগেও বলেছি, এবং আবারও বলছি, প্রতিটি ধর্ষকের কঠিনতম শাস্তি- ফাঁসি হওয়া উচিৎ। সমাজ থেকে এই জঘন্য সামাজিক ব্যাধি দূর করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমি বিশ্বাস করি যে দ্রুত, সময় বেঁধে বিচার ও শাস্তি একটি শক্তিশালী প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে। একটি স্পষ্ট বার্তা দেবে যে এই ধরনের অপরাধ মেনে নেওয়া হবে না।
এই কৃতিত্বের জন্য আমি রাজ্য পুলিশ এবং বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত সকলকে অভিনন্দন জানাই। নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা।“

spot_img

Related articles

উড়ালপুল–সেতুর নীচে বেআইনি দখলদারি সরাতে ‘উচ্ছেদ অভিযান’! উদ্যোগী কেএমডিএ 

কলকাতার উড়ালপুল ও সেতুর নীচ থেকে বেআইনি দখলদারি সরাতে উদ্যোগী হল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। ইতিমধ্যেই চারটি...

ফের জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী, ২৬ অগাস্টে বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠক 

চলতি সপ্তাহ থেকেই ফের শুরু হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফর। আগামী মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট তিনি পৌঁছাবেন বর্ধমান।...

ঠাকুরবাড়ির স্বার্থের রাজনীতি ফাঁস: শান্তনুকে কাঠগড়ায় তুললেন মা-দাদা

বিজেপির মধ্যে ঝগড়া ও স্বার্থের লড়াই শুরু হয়েছে বনগাঁর ঠাকুরনগরে। মতুয়া (Matua) সমাজের প্রভূত উন্নয়ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা...

মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার অধিকার কার: চরম দ্বন্দ্ব শান্তনু-সুব্রতর

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে এবার গোটা ঠাকুর পরিবার। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের ঘটা করে যে নাগরিকত্ব দেওয়ার খেলায়...