৬০ দিনের মাথায় ফরাক্কায় নাবালিকার ধর্ষণ-খুনের মামলায় সাজা ঘোষণা করল আদালত। দোষী একজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্যজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন বিচারর। এর পরেই ঘটনার তদন্তে রাজ্য পুলিশের তৎপরতা নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় সন্তোষপ্রকাশ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিজের এক্স হ্যান্ডেল (X-Handle) তিনি রাজ্য পুলিশ এবং বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ৯০ দিনেও চার্জশিট দিতে পারে নি সিবিআই। অথচ ফরাক্কায় (Farakka) শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় রাজ্য পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত করে। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায়ের নেতৃত্বে তদন্তকারী দল মাত্র ২১ দিনে এই মামলার চার্জশিট দিয়েছিল। বৃহস্পতিবারই ২ অপরাধীকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। দোষী দীনবন্ধু হালদারকে ফাঁসি ও শুভজিৎ হালদারকে যাবজ্জীবন সাজার নির্দেশ দেন অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতের বিচারক অমিতাভ মুখোপাধ্যায়।

১৩ অক্টোবর ফরাক্কায় (Farakka) মামার বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণ ও খুন হয় ওই নাবালিকা। শুধু তাই নয়, পুলিশি তদন্ত এবং ওই নাবালিকার পোস্টমর্টেম রিপোর্ট থেকে জানা যায়, দুই অপরাধী নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা ছাড়াও বিভিন্ন শারীরিক অত্যাচার করেছিল। মৃতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন এবং মাথায় গুরুতর আঘাতের উল্লেখ ছিল ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। এই মামলাটিকে প্রমাণিত করার জন্য পুলিশের তরফ থেকে একাধিক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার পাশাপাশি, ফরেন্সিক সাইন্স ল্যাবরেটরির ‘টুল কিট’ ব্যবহার করা হয়েছে। রাজ্যে এই প্রথম ‘ড্রোন ম্যাপিং’ করা হয় এই মামলায়। পরিকল্পনা মাফিক খুন বলে জানান কলকাতার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার। তিনি জানান, নাবালিকার মৃত্যুর পরেও তার উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। জয়নগরের মতো তাঁদের লক্ষ্য ছিল দ্রুত চার্জশিট পেশ করা যাতে বিচার প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি হয়।

Barely a week ago, @WBPolice and our justice system secured capital punishment within just 62 days for the perpetrator of a brutal rape-murder of a minor in Joynagar. Today, death penalty has been awarded to one of two accused in the heinous rape-murder of yet another minor in…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 13, 2024
এদিন সাজা ঘোষণা পরে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন,
“সবে এক সপ্তাহ আগে, রাজ্য পুলিশ এবং আমাদের বিচার ব্যবস্থা জয়নগরে এক নাবালিকার নৃশংস ধর্ষণ-খুনের অপরাধীর মাত্র ৬২ দিনে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করেছে। আজ, ১৩.১২.২৪ তারিখে ফরাক্কায় আরেকটি নাবালিকাকে জঘন্য ধর্ষণ-হত্যার ঘটনায় দুই অভিযুক্তের একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তার সহ-অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আমি আগেও বলেছি, এবং আবারও বলছি, প্রতিটি ধর্ষকের কঠিনতম শাস্তি- ফাঁসি হওয়া উচিৎ। সমাজ থেকে এই জঘন্য সামাজিক ব্যাধি দূর করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমি বিশ্বাস করি যে দ্রুত, সময় বেঁধে বিচার ও শাস্তি একটি শক্তিশালী প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে। একটি স্পষ্ট বার্তা দেবে যে এই ধরনের অপরাধ মেনে নেওয়া হবে না।
এই কৃতিত্বের জন্য আমি রাজ্য পুলিশ এবং বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত সকলকে অভিনন্দন জানাই। নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা।“

–

–

–

–

–

–
