ক্ষমতায় থাকতে আইন বদল! বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকার রায় হাইকোর্টের

হাইকোর্ট হাসিনার (Sheikh Hasina) আমলের সংশোধনী (amendment) বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষমতায় ফিরে আসার পথ করে দিলো

মুখে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি। অথচ আদতে যে বাংলাদেশের ক্ষমতা উপভোগ করছেন আর তা থেকে খুব শীঘ্র তিনি সরবেন না তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল হাইকোর্টের রায়ে। হাসিনা সরকারের বাতিল করা তত্ত্বাবধায়ক সরকার (interim government) আইন ফের ফিরিয়ে আনল ইউনূস সরকার। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতায় থাকতেও আর বাধা রইল না।

বিজয় দিবসের (Bijay Dibas) জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে ইউনূস (Mohammed Yunus) নিজে ঘোষণা করেছিলেন নির্বাচন কমিশন (Election COmmission) গঠন করে নির্বাচনের প্রক্রিয়া দ্রুত করার বার্তা দেন। সেই মতো নির্বাচন কমিশনার জানিয়ে দেন তাঁরাও প্রস্তুত দ্রুত নির্বাচন করার জন্য। অথচ তার পরদিনই হাইকোর্ট হাসিনার (Sheikh Hasina) আমলের সংশোধনী (amendment) বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষমতায় ফিরে আসার পথ করে দিলো। সম্প্রতি নির্বাচনের দাবি জানানো বিএনপি (BNP) অবশ্য পরে এই মামলায় পক্ষ হয়ে গিয়েছিল। ফলে তাদের নির্বাচন করানোর দাবিও এখন আর ধোপে টিকবে না।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে আওয়ামী লীগ (Awami League) সরকারের আমলে ২০১১ সালের ৩০শে জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন (amendment law) পাস হয়। এর দ্বারা তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা (interim government) বিলুপ্ত হওয়ায় দেশে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা তৈরি হয় এবং পরের তিনটি নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হয়। হাসিনা সরকারের পতনের পরই এই আইন বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। একাংশের রাজনীতিকদের মতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় রেখে তার পিছনে অন্য কোনও শক্তি কাজ করতে চায়।