খুলছে বাংলার বাড়ির দরজা, মঙ্গলে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে শুরু টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া

চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই অ্যাকাউন্টে (account) সেই টাকার প্রতিফলন দেখা যাবে। এই খাতে ৬,২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে

বাংলার বাড়ি প্রকল্পে টাকা পাওয়ার প্রক্রিয়া মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিসেম্বরেই হাতে বাড়ি তৈরির টাকাও পেয়ে যাবেন উপযুক্ত উপভোক্তারা। কড়া নজরদারি, বাছাই পর্বের পরেই নির্বাচিতদের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার নবান্ন (Nabanna) থেকে অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের (Banglar Bari scheme) প্রাথমিক পর্বে ১২ লক্ষ উপভোক্তার (consumer) অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রথম কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা পাবেন উপভোক্তারা। সরাসরি অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে সেই টাকা। মঙ্গলবার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই অ্যাকাউন্টে (account) সেই টাকার প্রতিফলন দেখা যাবে। এই খাতে ৬,২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।

এই প্রক্রিয়ায় এবার যাতে কোনও কারচুপি না হয় তার জন্য নেওয়া হয়েছে কড়া ব্যবস্থা। আধারের ইউনিক কোড ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত না থাকলে উপভোক্তা কিস্তির টাকা পাবেন না। সেকারণে গ্রামে গ্রামে বিশেষ শিবির খুোলে আবাসের তালিকায় নাম থাকা উপভোক্তাদের বায়োমেট্রিক তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। ওই শিবিরে গিয়ে সংশ্লিষ্ট উপভোক্তা নিজের নাম, ব্যাঙ্কের সমস্ত তথ্য যাচাই করে সম্মতি দেওয়ার পর পোর্টালে উপভোক্তা নামের সঙ্গে তাঁর আধার নম্বরের সংযুক্তিকরণ করা হচ্ছে। উপভোক্তার পরিচয় নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা থাকছে।

সেই সঙ্গে উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যাওয়ার পরে কোনও ধরনের অভিযোগ বা উপভোক্তার বেনিয়মে তাঁর বাড়ি পাওয়ার অধিকার চলে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকছে। সেক্ষেত্রে ফিরিয়ে নেওয়া হবে অ্যাকাউন্টে পাঠানো টাকা। প্রাপকদের তালিকা নিয়ে যাতে কোনো প্রশ্ন না ওঠে সেজন্য রাজ্য সরকার প্রত্যেক উপভোক্তাকে একটি করে ইউনিক পরিচয় পত্র দেওয়ারও পরিকল্পনা নিয়েছে।