জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস (Mohammed Yunus)। তবে সে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে যে যেন তেন প্রকারে বিলম্বিত করতে চাইছে বাংলাদেশ তার নজির রাখলেন প্রেস সচিব (press officer) শফিকুল আলম। অন্যদিকে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই তড়িঘড়ি বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে তাবড় জঙ্গি নেতারা।

ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে চট্টগ্রাম যেমন অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ইতিহাস বহন করে, বাংলাদেশে সেরকমই চট্টগ্রামকে (Chittagon) বারবার ব্যবহার করা হয়েছে ভারতের সেভেন সিস্টার্সে (Seven Sisters) অস্ত্র পাচারের পথ হিসাবে। ভারতের জঙ্গিগোষ্ঠী আলফার সঙ্গে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার (Khaleda Jiya) মন্ত্রীদের অস্ত্র পাচার নিয়ে যে সরাসরি যোগ ছিল তা প্রমাণ হয়েছিল ২০০৪ সালে। দশ ট্রাক বোঝাই অস্ত্র আটক করেছিল বাংলাদেশ নিরাপত্তা রক্ষীরা। গ্রেফতার হয়েছিলেন খালেদা সরকারের মন্ত্রিসহ ১৪ জন। হাসিনা সরকারের আমলে তাদের সবার এবং আলফা জঙ্গি নেতা পরেশ বড়ুয়া (Paresh Barua) ফাঁসির সাজা হয়েছিল। ইউনূস সরকারের আমলে সেই সাজাতেই পালাবদল।

বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একাধিক রাজনৈতিক নেতা ভারতের সেভেন সিস্টার্সের (Seven Sisters) দিকে নজর দিয়েছেন, ছিনিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। বাংলাদেশ হাইকোর্টের রায়ে কার্যত তারই প্রতিচ্ছবি। অভিযুক্ত বাংলাদেশের ১৪ জনের মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রীসহ ছয়জনের শাস্তি মকুব হয়েছে। অন্য ছয়জনের ফাঁসির সাজা কমিয়ে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আলফা নেতা পরেশের ফাঁসি বদলে গিয়ে হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদন্ড।

যে অরাজক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশে জেল থেকে বেরিয়ে এসেছে কুখ্যাত দুষ্কৃতীরা, সেই অরাজক পরিস্থিতি যে ইউনূস সরকার আরো কিছুদিন চালিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে তা স্পষ্ট প্রেস সচিব শফিকুল আলমের দাবিতে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হলেও তা সম্পূর্ণ হতে অন্তত জুন মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশের নাগরিকদের।


–

–

–

–

–

–

–
