বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারতের পক্ষ থেকে যতবার সুসম্পর্ক বজার রাখার প্রয়াস করা হয়েছে, ততবার সেখানকার রাজনৈতিক থেকে মৌলবাদী (Islamic extreminsts) সংগঠনগুলির উস্কানি প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকি বিজয় দিবসেও (Bijay Dibas) ভারতের উল্লেখ এড়িয়ে গিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসক মহম্মদ ইউনূস (Mohammed Yunus)। আদতে যে এই ভারত-বিরোধিতার পিছনে হাত ছিল জামাত-এ-ইসলামির, এবার সেটাই প্রকাশ্যে চলে এলো। ভারত ও আওয়ামি লীগ (Awami League) বিদ্বেষ থেকে এক মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতোর মালা পরালেন এক জামাত নেতা।

কুমিল্লার চোদ্দগ্রাম এলাকার মুক্তিযোদ্ধা (freedom fighter) আবদুল হাইকে হেনস্থার ভিডিও ভাইরাল হয় রবিবার। দীর্ঘদিন আওয়ামি লীগের কৃষক লীগের সদস্য ছিলেন। তবে সম্প্রতি তিনি ঘরছাড়া ছিলেন। রবিবার তাঁকে মাঠে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে আসে কিছু জামাত নেতা কর্মীরা। ভিডিওতে দেখা যায়, জুতোর মালা (garland of shoes) পরা অবস্থায় বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইকে নিয়ে টানা হ্যাঁচড়া করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেওয়া হয়। কোনওভাবেই কুমিল্লা (Kumilla) জেলাতেই তাঁর থাকা হবে না বলে ঘোষণা করে দেন জামাত নেতারা।

ঘটনার পরই অসুস্থ আবদুল হাইকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার (Choddogram police station) পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আশাও ছেড়ে দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। যদিও এরকম ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করে থানা। তবে পুলিশে অভিযোগ করলে তাঁদের আরও অত্যাচারের মুখে পড়তে হবে, এমনটাও দাবি করেন তিনি।

মুক্তিযোদ্ধাদের উপর হামলার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের যে শক্তি ভারত বিরোধী আস্ফালন জাহির করছে তাদের বিরুদ্ধে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এখনও নীরব। রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে এই অশনি সংকেত নিয়ে ফের প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, বাংলাদেশের সব নাগরিক ভারতবিরোধী নন। তবে যারা ভারতের নামে বিষ ছড়াচ্ছে তাদের জবাব একমাত্র ভারতের কেন্দ্র সরকার দিতে পারে। তাঁরা কেন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না, প্রশ্ন তোলেন কুণাল।


–

–

–

–

–

–

–
