একটা রাতের জন্য রবিবার সকালে বাড়ি ফিরলেন রবি হাঁসদা। মঙ্গলকোটের নিগন গ্রাম পঞ্চায়েতের মশারু গ্রামে পা রাখতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ল গোটা এলাকা। রবিকে আদিবাসীদের সংস্কৃতি মেনে বরণ করে গ্রামবাসীরা নিয়ে এলেন বাড়িতে।

৩৩ বছর পর বাংলার মুকুটে সন্তোষ ট্রফি জয়ের অন্যতম কারিগর রবি জানালেন, অসাধারণ অনুভূতি। বিশেষ করে, এই জয়ের পর বাড়ি আসার জন্য ছটফট করছিলাম। তবে এখন অনেক কাজের চাপ। তাই রবিবার রাতটা কাটিয়েই তাঁকে ফিরতে হবে কলকাতায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্তোষ ট্রফি জয়ের প্রত্যেককে সরকারি চাকরি দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এদিন রবি জানিয়েছেন, ফর্ম ফিলআপ হয়ে গেছে। ১ মাসের মধ্যে চাকরি হবে বলে জানিয়েছে। রবি জানিয়েছেন, সম্ভবত পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদে। একমাসের মধ্যেই। একইসঙ্গে এরপর কোন ক্লাবের হয়ে খেলবেন তা নিয়েও অনেকের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। রবি জানিয়েছেন, তাঁর এই জয় তিনি তাঁর প্রয়াত বাবা ছাড়াও মা এবং কাকাদের উৎসর্গ করছেন।

আগামী প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের জন্য রবির পরামর্শ, মোবাইল কম ঘাঁটলে ভাল। খেলাধুলা করতে হবে। আদিবাসী সমাজের ছেলেমেয়েদের জন্যও তাঁর আবেদন, ভাল করে মন দিয়ে খেলো। একাধিক অ্যাকাডেমি রয়েছে কলকাতায়। অনূর্ধ্ব ১০, ১২, ১৩, ১৪, ১৫-তে অনেক সুযোগ রয়েছে। ভাল করে নিজেকে তৈরি করতে পারলে সুযোগ পাবেই। এদিন সকালে রবি তাঁর স্ত্রী ও কন্যাসন্তানকে নিয়ে মশারু গ্রামে পা রাখতেই তাঁকে আদিবাসী সংস্কৃতি মেনে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। আদিবাসী ধামসা মাদলের তালে তালে তাকে নৃত্যের মধ্যে দিয়ে বাড়ি নিয়ে যান গ্রামের মানুষেরা। এরই পাশাপাশি এদিন রবিকে দেখতে আশপাশের এলাকার মানুষও ভিড় করেন মশারু গ্রামে। এক মূহূর্তে রবির ছটায় আলোকিত হয়ে গেল মশারু।

আরও পড়ুন- দরিদ্র পরিবার থেকে বিপুল বিত্তবান সুরেশ! সাংবাদিক মুকেশ হত্যায় মোস্ট ওয়ান্টেড
