কাঁটাতার বসাতে বাধা বাংলাদেশের, তবুও তলবে নরম সুর হাই কমিশনারের

প্রণয় ভার্মা (Pranay Verma) জানান, ভারত সীমান্তে অপরাধ দমনে বদ্ধপরিকর। গুরুত্ব সহকারে চোরাচালান (smuggling), সন্ত্রাসবাদীদের আনাগোনা ও মানব পাচারের (trafficking)

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে নতুন জটিলতা তৈরির চেষ্টা কার্যত নরম হাতে দমন করতে চলেছে ভারত। সেই উদ্দেশে এবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের (Bangladesh External Affairs Ministry) তলবে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিলেন ভারতীয় হাই কমিশনার (High Commissioner) প্রণয় ভার্মা। বাংলা ও ত্রিপুরা সীমান্তে কাঁটাতার বসাতে গেলেই বাধার মুখে বিএসএফ। এক্ষেত্রে ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ আগে করার কথা থাকলেও আশ্চর্যজনকভাবে বাংলাদেশ ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠায়। যদিও সেই বৈঠকে বাংলাদেশের তরফ থেকে যে ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ ভারতের সীমান্তে চলছে, তা নিয়ে সতর্ক করা হয় ভারতীয় হাই কমিশনারের তরফে।

সম্প্রতি ত্রিপুরার (Tripura) কৈলাশহর, বাংলার মালদহ, কোচবিহার, বালুরঘাট প্রভৃতি সীমান্তে একাধিকবার বাংলাদেশের তরফ থেকে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা দেখা গিয়েছে। সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলি দিয়ে একাধিক অনুপ্রবেশ এমনকি জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনার পরে সতর্ক হয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Ministry of Home)। শুরু হয়েছে অরক্ষিত সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়ার কাজ। তাতেই আপত্তি বাংলাদেশ প্রশাসনের। বিজিবি (BGB) স্থানীয় বাংলাদেশের বাসিন্দাদের নিয়ে কাঁটাতার বসানো আটকাতে রীতিমত তৎপর হয়। এরপরই কেন কাঁটাতার বসানো হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু বাংলাদেশের। এরপর ভারতীয় হাইকমিশনারকেই কাঁটাতার (fencing) বসানোর ‘অপরাধের’ জেরে তলব করা হল ভারতের হাই কমিশনারকে।

বাংলাদেশ পররাষ্ট্র দফতরের উপদেষ্টা মহম্মদ জসিমুদ্দিন তলব করেন ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাকে। বৈঠক শেষে প্রণায় ভার্মা (Pranay Verma) জানান, ভারত সীমান্তে অপরাধ দমনে বদ্ধপরিকর। গুরুত্ব সহকারে চোরাচালান (smuggling), সন্ত্রাসবাদীদের আনাগোনা ও মানব পাচারের (trafficking) মতো বিষয়গুলিকে দেখা হচ্ছে। সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া ছিল। বিএসএফ ও বিজিবি পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। সেই সঙ্গে তিনি দাবি জানান, দুদেশের মধ্যে সমঝোতা যেন বজায় থাকে। অপরাধ দমনে দুদেশের সহযোগী হিসাবে পদক্ষেপ দাবি করা হয়।

সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের তরফ থেকে সীমান্তে ভারতের কাঁটাতার বসানোর উদ্যোগ কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হবে, তা স্পষ্ট হয়নি এদিনের বৈঠকে। উপরন্তু এতদিন ধরে বাংলার একাধিক সীমান্তে যেভাবে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশ ও অশান্তির ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে ভারতের নরম অবস্থানের জেরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনই পদক্ষেপ নেওয়া হল না। যার সরাসরি প্রভাব পড়তে চলেছে বাংলার সীমান্ত এলাকা ও সেখানকার জনজীবনে।