Sunday, November 16, 2025

আরজি কর-কাণ্ড: ইভেন্ট ম্যানেজারদের দিয়ে এ যেন সাজানো চিত্রনাট্য!

Date:

Share post:

এই চিত্রনাট্য হার মানাবে যেকোনও জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজকেও। যেভাবে স্ক্রিপ্ট তৈরি হয়েছিল আর সামনের সারিতে যেসব অভিনেতা ছিল নিঃসন্দেহে তারা প্রতিযোগিতায় ফেলে দিতে পারে মঞ্চের অভিনেতাদের। আসলে এরা কিন্তু ডাক্তার। মানে জুনিয়র ডাক্তার। বা বলা ভাল ডাক্তারির ছাত্র। এরাই যে কায়দায় আন্দোলনের নামে দিনের পর দিন ফুটেজ খেয়েছে এবং বিশ্বাসযোগ্যভাবে অবিশ্বাস্য অভিনয় করেছে, তাতে বেবাক বেকুব বনেছেন বাংলার মানুষ। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে কার্যত আন্দোলনের প্রোমোশন করানো হয়েছে। যে কায়দায় নতুন ছবির প্রোমোশন হয় বলিউড ও টলিউডে, অনেকেটা সেই কায়দায় পেশাদার সংস্থাকে দিয়ে সবটা করা হয়েছে। আর এসব করতে বাজার থেকে তোলা হয়েছে কোটি কোটি টাকা। এই তোলাবাজির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্রাউড ফান্ডিং’।

একাধিক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাকে কাজে লাগানো হয়েছিল গোটা এপিসোডে। তাদেরই একটির কর্ণধার অর্ণব পাল বলছেন, একবার তাঁকে পেমেন্ট করা হয় ৫০ হাজার টাকা। আর একবার দেওয়া হয় ১ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা। এছাড়া জিএসটি বাবদ দেওয়া হয়েছিল আরও ৫,৪০০ টাকা। সব টাকাটাই তাঁকে নগদে নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি। এটা তো গেল একটি সংস্থার কথা। এরকম আরও অনেক সংস্থাকে কাজে লাগানো হয়েছে। তাদের যে নগদেই বিল মেটানো হয়েছে তা ক্রমশ প্রকাশ্য। তার কারণ দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে ম্যারাপ বেঁধে তাতে পাখা, আলো, মাইক, ক্যামেরা, ড্রোন, জলের ব্যবস্থা-সহ দামি রেস্তোরাঁ থেকে খাবার আনা এবং এই সব করতে গিয়ে দিনের পর দিন প্রায় ৫০ জনের মতো কর্মী টানা কাজ করে গিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাদের দক্ষিণা দেড় লক্ষ হতে পারে না। এটা ছেলে ভোলানোর খেলা। খরচ হয়েছে এর ২০০ গুণ বেশি টাকা। তা না হলে চিত্রনাট্য অনুযায়ী একটার পর একটা নিখুঁত এপিসোড নামানো সহজ ছিল না। আরজি কর আন্দোলনের নামে, উই ওয়ান্ট জাস্টিস ট্যাগ লাইন দিয়ে শহরে কার্যত বিশৃঙ্খলার দোকান খোলা হয়েছিল। আর সেখানে একাধিক নিখুঁত অভিনয়ে মিডিয়াতে বিক্রি করা হয়েছে সেন্টিমেন্টের সুড়সুড়ি। বিচারের নামে চোখে গ্লিসারিন দিয়ে কেঁদেকেটে পেশ করা হয়েছে সহানুভূতির জম্পেশ আইটেম। শুধু মাটিতে থাকা ক্যামেরা নয়, ড্রোন উড়িয়ে আরও জমজমাট আয়োজনের পরিকল্পনাও ছিল। কিন্তু ফোর্ট উইলিয়ামের কাছাকাছি এলাকায় ড্রোন ওড়াতে চাননি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কর্তারা। নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য যা-যা আইটেম প্রয়োজন তার সবটাই সাজিয়ে-গুছিয়ে বসা হয়েছিল। দোকানে বিক্রিবাট্টাও খারাপ হচ্ছিল না। কিন্তু একে একে গোপন সব তথ্য সামনে আসতে থাকায় মানুষ বুঝতে পারেন, এ আসলে স্রেফ নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং লুটে-পুটে খাওয়ার পরিকল্পনা ছাড়া কিছুই নয়। তাই এখন জুনিয়র ডাক্তাররা যতই মিছিল-মিটিং করুক না কেন, সেখানে মানুষের উপস্থিতি থাকে না।

আরও পড়ুন- আর অপেক্ষা নয়! এবার ক্যাজুয়াল- চুক্তিভিত্তিক – দৈনিক ভাতার কর্মীরা অনলাইনেই পাবেন অবসরকালীন অনুদান

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

spot_img

Related articles

বাংলাদেশের জেলে কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীর রহস্যমৃত্যু, পরিকল্পনা করে খুন! অভিযোগ পরিবারের

'ভুলবশত' বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক জলসীমা (Bangladesh water border) অতিক্রম করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ঢুকে পড়েছিল কাকদ্বীপের মৎস্যজীবী। ৩২ বছরের বাবলু...

ফের মেট্রো বিভ্রাট, ময়দান থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত আংশিক ব্যাহত পরিষেবা!

রবিবাসরীয় সকালেও মেট্রো ভোগান্তি (Metro Service Interrupted)। সিগন্যালিং রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জেরে এদিন প্রথম মেট্রো থেকেই ব্যাহত হয় পরিষেবা।...

বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণাবর্ত, আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই ঊর্ধ্বমুখী পারদ

সকালে শীতের (Winter) অনুভূতি বেলা বাড়লে হালকা গরম, কার্তিক মাসের শেষ লগ্নে এভাবেই হিমেল আবহাওয়া উপভোগ করছে বঙ্গবাসী।...

টাটা সুমো-ডাম্পারের সংঘর্ষ, জম্মু-কাশ্মীরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ৪ আহত একাধিক

শ্রীনগরের নওগ্রামে বিস্ফোরক থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে যখন শোরগোল পড়ে গেছে ঠিক সেই আবহে ভূস্বর্গে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার...