Friday, November 14, 2025

মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় শীর্ষ আদালতে এবার জনস্বার্থ মামলা

Date:

প্রয়াগরাজ এখন মৃত্যুপুরী। মৌনী অমাবস্যায় অমৃতস্নান করতে গিয়েই বিপত্তি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা এখন গিয়ে দাঁড়াল ৩০। ২৫ জনকে শনাক্ত করা গেলেও বাকিদের যায়নি। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে ২জন বাংলার। পুণ্যার্জনে এসে আত্মীয় ও প্রিয়জনকে হারিয়ে মহাকুম্ভের আকাশে এখন শুধুই কান্নার আওয়াজ ৷ এদিন দুপুর পর্যন্ত অমৃত স্নান সেরেছেন প্রায় ৪ কোটি ২৪ লাখ পুণ্য়ার্থী । মেলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ কোটি পুণ্য়ার্থী স্নান সেরেছেন। সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। এছাড়া দুর্ঘটনার পর থেকে মহাকুম্ভ মেলা এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যা আরো প্রকট হয়েছে । মাঝে মধ্যেই কল রিসিভ হচ্ছে না । ইন্টারনেট পরিষেবাও তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। হোয়াটসঅ্যাপ কলেও কথা বলা যাচ্ছে না।

এমতাবস্থায় এবার মহাকুম্ভের বিপর্যয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হল জনস্বার্থ মামলা। মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে পুণ্যার্থীদের মৃত্যুর ঘটনা থেকে সমস্ত রাজ্যকেই শিক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আজই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে শুনানির আর্জি জানানো হতে পারে বলেই খবর। এদিনের এই ন্যক্কারজনক ঘটনা নিয়েই বিশাল তিওয়ারি নামক এক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। তিনি জানান উত্তর প্রদেশের মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে। যাদের অবহেলা ও গাফিলতির ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই ব্যক্তি, কর্তৃপক্ষ ও আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ করতে হবে। মহামিলন বা যেকোন মেলার বা জন সমাগমের ক্ষেত্রে সমস্ত রাজ্যের উচিত সঠিকভাবে পরিষেবা প্রদান করা। নিজের রাজ্যের লোকজনদের কথা মাথায় রেখে যথেষ্ট পরিমান ইনফরমেশন সেন্টার বা তথ্য কেন্দ্র তৈরি করা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত সম্পূর্ণ তথ্য বিশদে জানানো উচিত। কুম্ভমেলার মতো বড় অনুষ্ঠান, যেখানে কোটি কোটি মানুষের জনসমাগম সেখানে রাজ্যবাসীদের নিরাপত্তা সম্পর্কিত কোনরকম গাইডলাইন দেওয়া হয়নি কেন এই নিয়ে তোলা হয়েছে প্রশ্ন।

শীর্ষ আদালতের কাছে আর্জিতে বলা হয়েছে, কুম্ভমেলায় সমস্ত রাজ্যের নিজস্ব সেন্টার রাখতে হবে। ইমার্জেন্সির সময় সব রকমের সাহায্য করতে সব রাজ্যের সঙ্গে মিলেই আয়োজন করতে হবে। ঘোষণার জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা উচিত। দিক নির্দেশের জন্য রাস্তায় বোর্ডের ব্যবস্থা থাকা দরকার। সেই বোর্ড আঞ্চলিক ভাষায় হতে হবে যাতে সাধারণ মানুষ সেই নোটিস বা বোর্ডের লেখা পড়ে বুঝতে পারেন। এছাড়া রাজ্যগুলির ইলেকট্রনিক মোডে মেসেজ পাঠানোর ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক। এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও সহজে যাতে পুণ্যার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ পাঠানো যায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এন্ট্রি-এক্সিট পথে যথেষ্ট পরিমান জায়গার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

Related articles

সরকারি হাসপাতালে নাবালিকা রোগীর শ্লীলতাহানি! গ্রেফতার RG Kar আন্দোলনের ‘বিপ্লবী’ ডাক্তার

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতে সরকারি হাসপাতালে নাবালিকা রোগীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে। ঘটনায় গ্রেফতার বারাসাত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের...

আন্দুল রোডে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড! ভস্মীভূত দুই স্পঞ্জ কারখানা 

রাতের হাওড়ায় ভয়াবহ আগুনে কার্যত ছারখার হয়ে গেল আন্দুল রোডের পাশে হাঁসখালি পোল এলাকার দুটি স্পঞ্জ তৈরির কারখানা।...

সোনারপুরে শুরু হচ্ছে প্রবীণদের জন্য বিনামূল্যে নিউমোনিয়া ও ফ্লু টিকাকরণ কর্মসূচি

শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই নিউমোনিয়ার সংক্রমণ বাড়ছে রাজ্যজুড়ে। বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই রোগ অনেক সময় প্রাণঘাতী...

প্রকাশিত হল আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষার সময়সূচি

প্রকাশিত হল আগামী বছরের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষার সময়সূচি। কাউন্সিলের তরফে এদিন বিজ্ঞপ্তি জারি...
Exit mobile version