বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আদানি গোষ্ঠীর থেকে ফের সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ কিনতে চাইছে!

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ঝাড়খণ্ডে আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে ফের সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ কিনতে চাইছে । ২০১৭ সালের এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল।তারপর থেকে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানি করে আদানি গোষ্ঠী। সেখানে দু’টি ইউনিট রয়েছে। এক একটি ইউনিটের প্রায় ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। বিদ্যুতের বকেয়া বিল নিয়ে কয়েক মাস আগেও সমস্যা তৈরি হয়েছিল।শীতের মরসুমে চাহিদা কম থাকার কারণে আদানি গোষ্ঠীর থেকে বিদ্যুৎ কেনা অর্ধেকে নামিয়ে এনেছিল বাংলাদেশ। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে আদানি গোষ্ঠীকে ফের ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য বলা হয়েছে।আসলে গোড্ডায় আদানির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি শুধুমাত্র বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানির জন্যই ব্যবহার হয়। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুতের বকেয়া বিল বাবদ কোটি কোটি টাকা বকেয়া রয়ে গিয়েছে।

ওই বকেয়া বিতর্ক এবং বৈদেশিক মুদ্রায় ঘাটতির সমস্যা তৈরি হওয়ায়, ২০২৪-এর ৩১ অক্টোবর আদানির থেকে বিদ্যুৎ কেনা অর্ধেকে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ প্রশাসন। কিন্তু তিন মাস পরে ফের আগের মতো বিদ্যুৎ কিনতে আগ্রহী হয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন পর্ষদ (বিপিডিবি)জানিয়েছে, তারা বকেয়া টাকা মেটাতে প্রতি মাসে ভারতীয় মুদ্রায় ৭৩৭ কোটি টাকা করে দিচ্ছে আদানি গোষ্ঠীকে। আগামী কিস্তিগুলিতে বকেয়া টাকা আরও বেশি পরিমাণে মেটানোর চেষ্টা চলছে। ফলে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে আর কোনও সমস্যা নেই। এই অবস্থায় ঝাড়খণ্ডের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটটিও ফের সচল করার জন্য বলা হয়েছে আদানিকে।

জানা গিয়েছে, বিপিডিবি-র থেকে আদানির ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭৮০৭ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। ২০১৭ সালে তৎকালীন হাসিনা সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে ২৫ বছর ধরে আদানি গোষ্ঠীর বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার কথা। কিন্তু এই চুক্তিতে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে বাংলাদেশের হাই কোর্ট তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্তের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেয় আদালত।