মাঝেমধ্যেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে মেট্রো পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটে। ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ যাত্রীদের। তাই এবার নয়া পদক্ষেপ কলকাতা মেট্রোর। বিদ্যুৎ বিভ্রাটেও টানেলে আর থমকে থাকবে না মেট্রো। নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যের পথে এগোতে থাকবে মেট্রো। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মে মাসেই কলকাতার নর্থ-সাউথ মেট্রো রুটে বসে যাবে এই ‘পাওয়ার ব্যাঙ্ক’। সর্বাধিুনিক এই প্রযুক্তির পোশাকি নাম ‘ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম (বিইএসএস), যা ইনভার্টার ও অ্যাডভান্স কেমিস্ট্রি সেল (এসিসি) ব্যাটারির মিশেলে তৈরি।

মেট্রো রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লু লাইনে সেন্ট্রাল সাবস্টেশনে ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম চালু করা হবে। ইনভার্টার এবং অ্যাডভান্সড কেমিস্ট্রি সেল ব্যাটারিকে কাজে লাগিয়ে এই সিস্টেম চালু করা হবে। মেট্রো স্টেশনগুলিতে ২ মেগাওয়াট ক্ষমতার মোট ৭টি BESS ইনস্টল করার পরিকল্পনা রয়েছে। তার ফলে টানেলে থাকাকালীন বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলেও কমপক্ষে ৩০ কিলোমিটার বেগে রেক নিয়ে পরবর্তী স্টেশনে পৌঁছতে পারবে মেট্রো। আর বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে সমস্যায় ভুগতে হবে না যাত্রীদের।

মার্চের মাঝামাঝি নাগাদ যন্ত্রটি কলকাতায় চলে আসবে বলে জানা গিয়েছে। দমদম থেকে মহানায়ক উত্তমকুমার (টালিগঞ্জ) স্টেশনের মধ্যবর্তী যেকোনও অংশে বসানো হবে বিইএসএস। মাত্র ১০৬ বর্গ মিটার জায়গায় সহজেই বসানো যাবে যন্ত্রটি, যার আয়ু হবে ১৪ বছর। এই প্রযুক্তি কলকাতা মেট্রোর ব্যায় সঙ্কোচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে বলে জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

মেট্রো কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা অনুযায়ী, চলতি বছরের শেষের দিকে এই বিশেষ পদ্ধতি মেট্রোকে যুক্ত করা হবে। যদি নির্ধারিত ডেডলাইন অনুযায়ী কাজ শেষ হয় তবে কলকাতা মেট্রোতেই প্রথম এই পরিষেবা যুক্ত হতে চলেছে। উল্লেখ্য, কম খরচে অতি দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে মেট্রোই প্রথম ভরসা আমজনতার। দক্ষিণ থেকে উত্তরের দিকে ক্রমশ বাড়ানো হচ্ছে মেট্রোর রুট। যাতে যাত্রীরা যে উপকৃত হয়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় রেমালের পর জলযন্ত্রণায় ভোগান্তির শিকার হয়েছিলেন যাত্রীরা। তবে যাত্রী ভোগান্তি দূর করতে সবসময়ই মেট্রো কর্তৃপক্ষ কাজ করে চলেছে বলেই দাবি। BESS পদ্ধতি চালু হলে মেট্রোয় যাতায়াত যে আরও সহজ হবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

–

–

–

–

–

–

–

–