সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV footage) থেকে শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এক সাতমাসের শিশুর ধর্ষণের ঘটনায় ৪০ দিনের মধ্যে বিচার পাওয়ার পথ তৈরি করে দিল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে ধর্ষণ ও ধর্ষণ-খুনের মতো জঘন্য ঘটনা থামাতে অপরাজিতা আইন (Aparajita Bill) আনার ব্যবস্থা করেছিলেন। শুধুমাত্র কেন্দ্রের সরকারের গড়িমিসির জন্য এখনও সেই বিল আইনে পরিণত করা সম্ভব হয়নি। তা সত্ত্বেও বাংলার পুলিশ প্রশাসন তৎপর এই ধরনের ঘটনায় দ্রুত গ্রেফতারি ও বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে অপরাধীকে শাস্তির পথে নিয়ে যেতে ও ভুক্তোভোগীদের বিচার পাইয়ে দিতে। এবার শহরের ‘বিরলতম’ এই ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে শিয়ালদহ বিশেষ পকসো আদালতে (Special POCSO Court) দোষী সাব্যস্ত করা হল অভিযুক্ত যুবককে।

কলকাতার বড়তলা থানার (Bartala Police Station) অন্তর্গত এলাকার একটি ফুটপাথ থেকে একটি সাতমাসের শিশুকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। পরে প্রায় ১০০ মিটার দূরে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে হয় শিশুটির শারীরিক পরীক্ষার পরে। চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য তাকে ভর্তি করা হয় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে (R G Kar Medical College)। সেখানে যৌন নির্যাতনের (sexual assault) সত্যতা শারীরিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়। কার্যত এই পাশবিক ঘটনা হতবাক করে দেয় চিকিৎসকদের।

পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত রাজীব ঘোষকে চিহ্নিত করা হয়। ঘটনার পরে নিজের ঝাড়গ্রামের বাড়িতে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করে রাজীব ওরফে গোরবা। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ডাক্তারি পরীক্ষা ও পুলিশের তথ্য প্রমাণে উঠে আসে এই বিরলতম কুকীর্তির জন্য দায়ী রাজীব ঘোষই। সোমবার শিয়ালদহ বিশেষ পকসো আদালত (POCSO Court) রাজীবকে দোষী সাব্যস্ত করে। মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা হবে।

–

–

–

–

–

–

–

–
