যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) অসভ্যতা করে রাজ্যের মুখ পুড়িয়েছে এসএফআই। সেই অসভ্যতা ঢাকতে এবার নতুন নতুন যুক্তি তুলে ধরা হচ্ছে বামেদের পক্ষ থেকে। আর তার জন্য তারা আরও বেশি মিথ্যার জালে জড়িয়ে পড়ছে। কখনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পুরোনো ছবির মিথ্যা তথ্য দিয়ে কুৎসা করার চেষ্টা হচ্ছে। কখনও হামলা চালানো গাড়ির সম্পর্কে অসম্পূর্ণ তথ্য পেশ করে নিজেদের অরাজকতা ঢাকার চেষ্টা। এসএফআই-এর মিথ্যাচারকে একের পর এক জবাব দিয়ে মিথ্যাচারের পর্দাফাঁস করলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

জনৈক বাম ছাত্রনেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ছবি তুলে ধরে দাবি করে সেটি তৎকালীন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) গাড়ি। আবার বামেরা সেই ছবি শেয়ার করে ভাইরাল করারও চেষ্টা করে। তার মধ্যেই ওই ছবির আসল রহস্য ফাঁস করেন কুণাল। তিনি স্পষ্ট বলেন, বামেরা দিদির এই ছবি দিয়ে জয়প্রকাশ নারায়ণের গাড়ি বলে পোস্ট করছে। দিদি জয়প্রকাশ নারায়ণের গাড়ির উপর কখনও ওঠেননি। এই ছবিটি ১৯৯৬ সালে আলিপুরের। গাড়িটি আমার ব্যবহারের ( সংবাদ প্রতিদিনের)। গাড়ির ভিতরে তখন কেউ ছিল না। সামনে বিপুল জনতা। যাতে সবাই দিদির কথা শুনতে পান, তাই উঁচু জায়গার দরকার ছিল। এর সঙ্গে কোনও গাড়িতে কোনো হামলার সম্পর্ক নেই।

আবার এসএফআই-এর (SFI) পক্ষ থেকে শনিবার হামলা চালানো গাড়ি দেখিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে গাড়িটির দূষণ নিয়ন্ত্রণ নথির বৈধতার সময় পেরিয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ গাড়ি পলিউশন ফেল (pollution fail) করেছে। এই প্রসঙ্গেই কুণালের কটাক্ষ, এসএফআই একটা চেকিং সেল খুলুক। সবার পল্যুশন চেক করুক। আলিমুদ্দিনের ভিতরে যে গাড়ি রয়েছে তার পরীক্ষা হোক। যে কোনও ছাড়পত্র আপডেটেড থাকা সমীচীন। কোনও ক্ষেত্রে সেটা ফেল হয়েছে। তার সঙ্গে গাড়িটির উপর হামলা চালনোর তো কোনও সম্পর্ক নেই। তার সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর (Education Minister) উপর হামলা চালানোর সম্পর্ক নেই।

আবার গাড়ির মালিক হিসাবে অসম্পূর্ণ নাম দেখিয়ে এসএফআই-এর দাবি গাড়ির মালিক কুণাল ঘোষ। রসিকতা করে কুণাল তার জবাব দেন, গাড়ি দেখিয়ে বলেছে সেই গাড়িটি আমার হলেও হতে পারে। যদি একটা এরকম তথ্য কোথাও পায় যে আমার নামে একটা গাড়ি আছে, আমায় দিক। আমি গিয়ে নিয়ে আসব। আমার একটা গাড়ি হবে।
–

–

–

–

–

–

–
