স্কুল জীবনের শেষ পরীক্ষায় সন্তানরা। আর সেই দিনই ধর্মঘটের (students strike) ডাক যাদবপুরে (Jadavpur University) গুণ্ডাগিরি চালানো বাম ছাত্র সংগঠনের। ফলে পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে উৎকণ্ঠায় অপেক্ষা অভিভাবকদের। যাদবপুরে যে গুণ্ডাগিরি রাজ্যের মন্ত্রীর উপর চলেছে, তাতে পরীক্ষা শুরুর প্রথমদিন আতঙ্কে অভিভাবকরা। যার প্রমাণ মিলল সোমবার সকালে মেদিনীপুর কলেজে (Medinipur College)। সেখানে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কলেজে ঢুকতে বাধা দেওয়া ঘিরে সকাল সকাল হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়।

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে শুরু করতে তৎপরতা ছিল রাজ্য পুলিশের। রাজ্যের কোথাও সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরুতে সমস্যায় পড়তে হয়নি পরীক্ষার্থীদের। যদিও পুলিশের তরফে সমস্যায় পড়লেই ফোন করে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষা সোমবার সকাল ১০টায় সুষ্ঠুভাবে শুরু হলেও চরম উৎকণ্ঠা অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা যায়।

কলকাতার একাধিক পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে অভিভাবকরা জানান, এমনিতেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে আলাদা দুশ্চিন্তা থাকে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। সেখানে ছাত্র সংগঠনই এরকম দিনে কেন ধর্মঘটের (students strike) মতো সিদ্ধান্ত নিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। ছাত্রদের স্বার্থবিরোধী ধর্মঘটের বিরোধিতা অভিভাবকদের মুখে।

অন্যদিকে শুধুমাত্র কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া এসএফআই (SFI) সোমবার সকাল থেকেই গায়ের জোর দেখাতে থাকে। মেদিনীপুর কলেজে (Medinipur College) ১ নম্বর ও সাইকেল স্ট্যান্ডের গেট আটকে পড়ুয়াদের ঢুকতে বাধা দেয় তারা। ক্লাস করতে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের সমর্থনে টিএমসিপি নেতৃত্ব কলেজের গেটে এলে তাদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু করে এসএফআই সমর্থকরা। জোর করে ক্লাস করতে বাধা দেওয়ায় টিএমসিপি কর্মীদের গায়ে হাত তুললে পুলিশ এগিয়ে আসে। তবে ক্যাম্পাসে ঢোকার অনুমতি না থাকায় বাইরে থেকেই তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

–

–

–

–

–

–

–
