সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বন্ধ হোক মারণ ওষুধ: সুপারিশ BCDA-র

সুপারিশ করা হয়। যার মধ্যে অন্যতম, ভুয়ো ওষুধ (adulterated drug) উৎপাদন, বণ্টন এবং বিক্রয় বন্ধ করতে আইন ও নিয়মাবলী জোরদার করা

গুণমান পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি যে ওষুধ তা নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া অবস্থানে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যসচিব একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যের হোলসেলার ও খুচরো ওষুধ ব্যবসায়ীদের (chemists and druggists) নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তারা এই ‘ফেল’ (fail) করা ওষুধ বিক্রি বন্ধ করে। রাজ্যের পদক্ষেপের সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (BCDA) সদস্যরা। একদিকে মারণ ওষুধ (adulterated drugs) বন্ধের জন্য নিজেদের সদস্যদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এই সংক্রান্ত কঠিন আইন ও বিচারের জন্য বিশেষ আদালতের আবেদন জানান তাঁরা।

বিসিডিএ (BCDA) সদস্যদের দাবি, ভুয়ো ওষুধের রমরমায় তাঁদের সংগঠন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি শহর চিহ্নিত করেছেন তাঁরা যেখানে ভুয়ো ওষুধের উৎপাদন উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবৈধ ওষুধগুলি প্রায়ই অ-লাইসেন্সধারী ব্যক্তিদের দ্বারা উৎপাদিত হয়, যদিও লাইসেন্সধারী প্রস্তুতকারকরাও এতে জড়িত থাকতে পারেন। এক্ষেত্রে মূল উদ্বেগ বলে তাঁরা উল্লেখ করেন, ভুয়ো ওষুধগুলো অকার্যকর, বিষাক্ত এমনকি মারণ হতে পারে। রোগীদের জীবন বিপদে ফেলতে পারে। এর অবৈধ ব্যবসা অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং বৈধ ব্যবসাকে দুর্বল করে দেয়। নিয়ন্ত্রক কাঠামো এবং আইন প্রয়োগের অভাব ভুয়া ওষুধের বিস্তারকে সুবিধা দেয়।

সংগঠনের পক্ষ থেকে এই জাল কারবার থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়। যার মধ্যে অন্যতম, ভুয়ো ওষুধ (adulterated drug) উৎপাদন, বণ্টন এবং বিক্রয় বন্ধ করতে আইন ও নিয়মাবলী জোরদার করা। ওষুধ পরীক্ষার সুবিধা উন্নত করা এবং পর্যাপ্ত কর্মী নিয়োগ নিশ্চিত করা। ভুয়ো ওষুধ সম্পর্কিত অপরাধের দ্রুত বিচার করার জন্য বিশেষ আদালত স্থাপন করা।

সেক্ষেত্রে সচেতনতা (awareness) বৃদ্ধির উপরও জোর দেন সংগঠনের সদস্যরা। সেই পথে তাঁদের দাবি, ভারতে প্রায় ১২.৪০ লাখ খুচরা কেমিস্ট (chemist) এবং ১৩.৫ লাখ ফার্মাসিস্ট (pharmacist) রয়েছে। একটি দায়িত্বশীল বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে BCDA নিয়মিতভাবে গাইডলাইন প্রকাশ করে এবং দোকান মালিকদের জন্য প্রযুক্তিগত সেমিনার পরিচালনা করে সচেতনার কাজ চালাবেন তাঁরা। সেই সঙ্গে বিক্রেতাদের কাছ থেকে বৈধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি না করার এবং ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস রুলস মেনে চলার পরামর্শ দেন তাঁরা।