বিজেপির দুর্নীতিতে নবতম সংযোজন এপিক কেলেঙ্কারি (epic scam)। সেই কায়দায় একের পর এক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কারচুপিতে মূল সহযোগী নির্বাচন কমিশন। এই পর্দা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) টেনে খুলে দিতেই একের পর এক সাফাই দিতে ময়দানে কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশন। কখনও গণ্ডগোল হয়েছে বলে ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড (duplicate epic card) তত্ত্ব তুলে আনা, কখনও ২৫ বছরের পুরোনো সমস্যা বলে দায় ঝাড়ার চেষ্টা করে চলেছে কমিশন। কিন্তু তৃণমূল কোনওভাবেই কমিশনের (Election Commission) সাফাইতে বিশ্বাস করতে নারাজ। তাই একদিকে সোমবার থেকে শুরু হওয়া সংসদের অধিবেশনে কমিশনের দুর্নীতি নিয়ে সরব হবেন সাংসদরা। অন্যদিকে দলের তরফে নির্দেশ দেওয়া হল বুথস্তরে একই ভাবে ভোটার তালিকা যাচাইয়ের (scrutiny) কাজ চালিয়ে যেতে।

তৃণমূলের অভিযোগে মান্যতা দিয়ে কমিশন শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে দাবি করে, তিনমাসের মধ্য়ে ডুপ্লিকেট এপিক কার্ডের সমস্যার সমাধান করবে তারা। যদিও কোন পদ্ধতি অবলম্বণ করা হবে তা জানানো হয়নি। তবে কমিশনের এই বার্তা বিশ্বাস করতে নারাজ তৃণমূল। দলের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্দেশ দেওয়া হয়, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী ভোটার লিস্টের (voter list) কারচুপি সনাক্তকরণের জন্য প্রত্যেক জেলায় বিধানসভা ভিত্তিক প্রত্যেক বুথের ভোটার তালিকা স্কুটিনির (scrutiny) কাজ যেমনভাবে চলছিল তেমনভাবেই অব্যাহত রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবারই তৃণমূল নেত্রীর তৈরি করে দেওয়া ভোটার তালিকা সম্পর্কিত বিশেষ কমিটি প্রথম বৈঠকে বসে। সেখানে প্রাথমিকভাবে একটি রোস্টার (roster) প্রকাশ করা হয়, যে রোস্টার অনুযায়ী বিভিন্ন জেলায় কমিটিগুলি কাজ করার কথা ছিল। সেই রোস্টার স্থগিত করা হয় দলের পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির জারি করা বিজ্ঞপ্তির মধ্যে দিয়ে। ফলত, যেমনভাবে তালিকা যাচাইয়ের কাজ করছিলেন কর্মীরা তেমনভাবেই কাজ চলবে বলেও দলের পক্ষে জানানো হয়। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানান, আমাদের কর্মীদের কাজে যেন কোনও রকম ঢিলেমি না থাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রতিটি মহল্লা, বুথে, স্ক্রুটিনির (scrutiny) কাজ চলবে। বিজেপির বড় পর্দাফাঁস। কমিশন যা-ই বলুক, যতই ভুল শোধরাক, আমাদের স্ক্রুটিনির কাজ সর্বশক্তিতে চলবে।

তবে শুধু বাংলার মধ্যে নয়, দেশ জোড়া এপিক দুর্নীতি (epic scam) নিয়ে দিল্লি কাঁপানোর ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। সোমবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সংসদের (Parliament) বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব৷ এই অধিবেশনেই ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড ইস্যুতে সংসদে ঝড় তুলবেন তৃণমূল সাংসদরা৷ লোকসভা এবং রাজ্যসভায় নোটিস পেশ করে ডুপ্লিকেট এপিক কার্ডের ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনার দাবি জানিয়েছেন এক ঝাঁক তৃণমূল সাংসদ৷ দলীয় সূত্রের দাবি, লোকসভায় (Loksabha) তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কীর্তি আজাদ এবং রাজ্যসভায় (Rajyasabha) তৃণমূলের নেতা ডেরেক ও ব্রায়ান, ডেপুটি লিডার সাগরিকা ঘোষ সহ অন্যান্য তৃণমূল সাংসদরাও এপিক কার্ডের ইস্যুতে সংসদীয় অধিবেশনে আলোচনার দাবি জানিয়ে নোটিস পেশ করেছেন৷ ভুয়ো ভোটার কার্ড এবং ডুপ্লিকেট এপিক ইস্যুতে মোদি সরকার বিরোধী আন্দোলনে তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে থাকছে গোটা বিরোধী শিবির৷

–

–

–

–

–

–

–
