ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কের নতুন অতিথি “পলাশ”। সামনেই রঙের উৎসব দোল উৎসব। তাই দোল উৎসবের আগেই উত্তরবঙ্গের জলদাপাড়া থেকে ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে নিয়ে আসা হলো একটি পুরুষ চিতাবাঘ, যার নাম “পলাশ”।

দোল উৎসবের আগেই ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে চিতাবাঘ পলাশের আগমন পর্যটকদের কাছে নতুন আকর্ষণ হয়ে উঠবে। অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রামের পর্যটকদের কাছে খুবই খুবই আকর্ষণীয় হলো জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক। এক সময় ঝাড়গ্রাম ডিয়ার পার্ক হিসেবে পরিচিত ছিল, রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রাম ডিয়ার পার্কের নাম পরিবর্তন করে রাখেন জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক। সেই সঙ্গে জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল চিড়িয়াখানাকে সাজিয়ে তোলার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়োজনে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তাই ঝাড়গ্রামে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে বিভিন্ন ধরনের পশু পাখি নিয়ে আসা হয়েছে।

রাজ্যের বন দফতরের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশ অন্য চিড়িয়াখানার থেকে একেবারেই আলাদা, শান্ত শাল গাছ ঘেরা জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে পশুপাখিরা খুব ভালোভাবে রয়েছে, তাই বিভিন্ন ধরনের পশু পাখি দেখার পর্যটকরা ঝাড়্গ্রামে বেড়াতে এলে ঝাড় গ্রামের জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে আসেন। সঙ্গে তিনি বলেন জলদাপাড়া থেকে নিয়ে আসা চিতাবাঘ পলাশ ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের ডি এফ ও উমর ইমাম বলেন, চিতাবাঘ “পলাশ” আগামী তিনদিন নাইট সেন্টারে থাকবে, তারপর আরো ৫ দিন একটি আলাদা ঘেরা-টোপে ছাড়া থাকবে। এরপর মূল এনক্লোজারে মহিলা চিতাবাঘ হর্ষিনীর সঙ্গে পুরুষ চিতাবাঘ পলাশকে ছাড়া হবে। যার ফলে আগামী দিনে ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল ও জুলজিক্যাল পার্কে চিতাবাঘের সংখ্যা বাড়বে।
আরও পড়ুন- ‘ছাবা’ দেখে মোঘল গুপ্তধনের খোঁজে মাটি খোঁড়া শুরু গ্রামবাসীদের

_

_

_

_

_

_

_