Friday, August 22, 2025

একশ্রেণির ছাত্র শুধুমাত্র নিজেদের মনের মতো পরিবেশ তৈরি করে রাখতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে (Jadavpur University) বিচ্ছিন্ন দ্বীপ করে রাখতে চাইছে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত তদন্ত করে ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানালো দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ। সেই সঙ্গে দ্রুত যাদবপুরে শিক্ষার ও শান্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনারও দাবি জানান তাঁরা।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একশ্রেণির পড়ুয়ার অরাজকতা তৈরির চেষ্টাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে একাধিকবার প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে। এবার দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের পক্ষ থেকেও তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হল। তাঁদের প্রশ্ন, ওই দিন ওয়েবকুপার (WBCUPA) সম্মেলনটি ছিল শিক্ষায় গৈরিকীকরণের (saffronisation) বিরুদ্ধে। সেই সম্মেলনের উপর দুটি বামপন্থী (left) ছাত্র সংগঠনের হামলা কেন চালাবে। এরকম একটি বিষয় নিয়ে সম্মেলন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে করা যাবে না। না কি এরকম সম্মেলনের বিষয়কে দুই ছাত্র সংগঠন পছন্দ করছিলেন না, প্রশ্ন তোলা হয়।

সেই সঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘আলাদা’ প্রমাণ করতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ তোলেন গণমঞ্চের সদস্যরা। তাঁদের প্রশ্ন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কি একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ? সারা রাজ্যে যখন একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রয়েছে, প্রত্যেকে তাদের মত প্রকাশ করতে পারছেন, তখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) চত্বরে কেন কোনও গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকবে না।

গোটা ঘটনায় উপযুক্ত শাস্তি দাবি করে গণমঞ্চের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে আচরণ করেছে সেদিন দুই ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা, তাদের আর যা-ই হোক ছাত্র বলা যায় না। তাঁদের গুণ্ডা বলে দাবি গণমঞ্চের। আর এই পরিস্থিতি বেশি দিন চললে যাদবপুরে পঠন-পাঠন শিকেয় উঠবে বলে দাবি করেন সংগঠনের সদস্য একাধিক যাদবপুরের প্রাক্তনী। এই প্রসঙ্গেই তাঁদের দাবি, ছাত্রদের আচরণকে আড়াল করতে নানা গল্প ফেঁদে অশান্তি জিইয়ে রাখার তৎপরতা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের অচলাবস্থা ও অরাজকতা বন্ধ করতে একদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি পেশ করেন তাঁরা। অন্যদিকে পুলিশকেও অরাজকতা তৈরি করা ছাত্রদের তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে বিশেষভাবে সতর্ক করে দেওয়ার দাবিও জানান তাঁরা।

Related articles

রাজ্যে শুরু SIR প্রস্তুতি: একাধিক পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের

গোটা দেশেই এসআইআর লাগু হবে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar)। বিহারে ৬৫ হাজার...

আস্থা কোথায়? প্রধানমন্ত্রীর সভার দিন বুঝিয়ে দিলেন দিলীপ, কটাক্ষ তৃণমূলের

দৃশ্য এক, বিজেপির নক্ষত্রখচিত মঞ্চ। মালা, উত্তরীয়তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) বরণ করছেন একের পর এক বঙ্গবিজেপির...

বাংলা বিদ্বেষীকে পাশে বসিয়ে বাঙালি প্রেম! মোদির দ্বিচারিতাকে ধুইয়ে দিল তৃণমূল

বাংলায় এলেই বাংলা ভাষায় বক্তৃতা। এ তো নরেন্দ্র মোদির রেওয়াজ হয়েছেই। সম্প্রতি তিনি উত্তর ভারতের গোবলয়ের দেব-দেবী ছেড়ে...

রায় বেরোনোর পরেই জয়েন্টের তালিকা প্রকাশ: বোর্ডের কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা হাই কোর্ট ওবিসি সংক্রান্ত যে জট দীর্ঘদিন ধরে পাকিয়ে রাখার চেষ্টা করে চলেছিল, শুক্রবার তা প্রতিহত হয়...
Exit mobile version