গত ১লা মার্চ যাদবপুরে আক্রমণের শিকার হন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে ইট ছোড়া হয়, কাচ ভেঙে আহত হন তাঁর নিরাপত্তারক্ষী। ব্রাত্য বসুর গায়েও আঘাত লাগে। যাদবপুরের এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাল অল বেঙ্গল স্টেট গভর্নমেন্ট কলেজ টিচার অ্যাসোসিয়েশন।

সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রীর ওপর হামলার প্রতিবাদ করে তাঁদের বক্তব্য, ১লা মার্চ ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভায় একদল বামপন্থী ছাত্রছাত্রীর কদর্য নৈরাজ্যের রাজনীতিকে প্রত্যক্ষ করলাম আমরা। উক্ত সম্মেলন কোনো গোপন গেরিলা আক্রমণ ছিল নাকি? যে তাকে প্রতিরোধ করতে বামপন্থী ছাত্রছাত্রীরা ঝাঁপিয়ে পড়লেন? মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী কি কোনোও ফেরারী আসামি? যে তাঁকে ও গাড়িকে লক্ষ্য করে কদর্য ও কুৎসিত আক্রমণ করে ওরা সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠায় একধাপ এগিয়ে গেলেন। এর মূলে বর্তমান বাম-অতিবাম রাজনীতির দিশাহীন দৈন্যদশার নগ্ন বহিঃপ্রকাশের গভীর কোনোও ষড়যন্ত্র কাজ করেছে বলে আমাদের অনুমান। সভায় আগত সম্মানীয় প্রতিনিধিরাও এই শারীরিক-মানসিক নির্যাতন থেকে রেহাই পাননি যা অত্যন্ত বর্বরতার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকলো।

পাশাপাশি তাঁদের বক্তব্য, বিগত বছরগুলিতেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমরা এমন অনেক ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি, যা একেবারেই’ ছাত্রছাত্রীসুলভ’ নয়। যে বিদ্যায়তনিক প্রতিষ্ঠান বহুস্বরের ধারক-বাহক হিসেবে পরিচিত, সেখানে ভিন্নরুচির অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বারবার চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে, যা ভারতীয় সংবিধান ও গণতান্ত্রিক কাঠামোর মূলে কুঠারাঘাত করছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর এই নৃশংস বর্বর আক্রমণের রাজনীতি ও নৈরাজ্যের বাতাবরণ সৃষ্টির চরম বিরোধিতা করছি এবং আমাদের সহকর্মী-সহমর্মী অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের উপর শারীরিক নিগ্রহ ও অমানবিক লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভবিষ্যতেও যদি কোনও শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষামন্ত্রী সহ শিক্ষক-শিক্ষিকা, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা ও কর্মীবৃন্দের উপর বাম-অতিবাম রাজনীতির দিশাহীন দৈন্যদশার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ দেখতে পাওয়া যায়, তাহলে তখন ও আমাদের সমিতির দৃঢ় প্রতিবাদকণ্ঠ সোচ্চার হবে এবং নিন্দা ও ধিক্কার জানাবে।

আরও পড়ুন- বাংলার বাড়ি: প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েও বাড়ি তৈরির কাজ হয়নি কেন? কারন জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব রাজ্যের
_

_

_

_

_

_

_

_