বিজেপির যারা রাজনীতি করেন তাদের অধিকাংশই কোনও নীতির ধার ধারেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতে যারা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন সেটা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তৃণমূল কারোকে ডেকে নিয়ে আসছে না। তৃণমূলের কারও ঘর ভাঙানোর দরকার পড়ে না। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এভাবেই তোপ দাগলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।কুণালের দাবি, বিজেপি অন্তত পক্ষে চারজন সাংসদ তৃণমূলে আসার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে আছেন।এক ঝাঁক বিধায়ক তৈরি তৃণমূলে আসার জন্য।

তার সাফ কথা, বিজেপি(bjp) নিজেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার। সুকান্ত মজুমদার এক কথা বলেন, তো দিলীপ ঘোষ আর এক কথা বলেন। বিজেপির গোটা দলটাই উন্নয়ন বিরোধী, বঙ্গ বিরোধী, ধর্মীয় রাজনীতির বিষ ছড়ানো, গোষ্ঠীবাজিতে জর্জরিত একটা দল। এখন নিজেদের মধ্যে আবার কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করছে। তিনি স্পষ্ট জানান, গুরুত্বপূর্ণ ১০ থেকে ১২ টি মুখ নিয়মিত তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। তৃণমূল কারোকে প্রস্তাব দিচ্ছে না, তারা নিজেরাই তৃণমূলে আসতে চাইছেন। যারা বিজেপি করেন, তারা তো নিজেদের এলাকায় দেখতে পাচ্ছেন মানুষের কাছে বিজেপি প্রত্যাখ্যাত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে মানুষ অনেক বেশি ভরসা রাখেন। তারা দেখতে পাচ্ছেন বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, তারা দেখতে পাচ্ছেন বিজেপির গোষ্ঠীবাজি। তাই তারা বিজেপিতে থাকতে চাইছেন না। কারণ, তারা বুঝতে পারছেন বিজেপিতে থাকলে মানুষের সমর্থন পাওয়া যাবে না।

কুণাল মনে করিয়ে দেন, একুশের ভোটের আগে বিজেপি বিশেষ বিমানে করে এখান থেকে লোক নিয়ে গিয়েছিল। আর যারা গিয়েছিলেন, তারা বলছেন আমরা মমতাদির কাছে ফিরে যাব। অনেক পরিচিত বড় বড় মুখ ভোটের আগে বিজেপিতে যাওয়ার পরও তৃণমূল বিপুল হারে জয় পেয়েছে। কারণ, মানুষ ওই মুখগুলোকে মনে রাখেন না। তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে ভরসা রাখেন, তার রাজনীতিকে ভরসা করেন। ধর্মের রাজনীতি এখানে চলবে না। রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল হয়, সেই রেড রোডেই ঈদের নামাজ পড়া হয়।ধর্মের রাজনীতি বাংলায় চলবে না।অপেক্ষা করুন ২০২৬ এর ভোটের পর বিজেপিতে আর কেউ থাকবে না।

–
–

–

–

–

–

–

–

–
–