কিস্তির টাকা জমা না দিয়ে ‘বকেয়া’ মেটানোর চাপ, এজেন্টদের ঝাঁটাপেটা মহিলাদের

শেষ পর্যন্ত মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান কর্মীরা

বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে শোধ দিতে না পারায়, রিকভারি এজেন্টদের হুমকি এবং চাপের মুখে পরিবার-সমেত একাধিক আত্মহত্যার ঘটনা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে।দক্ষিণ কলকাতার হালতু থেকে নদিয়ার চাপড়া, তালিকাটা নেহাত কম নয়। ঠিক এর বিপরীত চিত্র দেখা গেল বীরভূমের(birtbhum) দুবরাজপুরে। এবার ঋণের ‘বকেয়া’ টাকা নিতে এসে স্থানীয় মহিলাদের হাতে আক্রান্ত হলেন সংস্থার দুই এজেন্ট। তাদের আটকে রেখে রীতিমতো ঝাঁটাপেটা করলেন। অভিযোগ, টাকা মিটিয়ে দেওয়ার পরেও এজেন্টরা(agent) ‘পাওনা’ নিতে সেখানে এসেছিলেন।শেষ পর্যন্ত মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান কর্মীরা।

জানা গিয়েছে, দুবরাজপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকটি পরিবার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছিল। সেই টাকা পরিশোধ করে দেওয়া হয়েছে। তারপরেও বারবার টাকা চাওয়া হচ্ছিল সেই প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে। সোমবার সন্ধ্যায় ওই সংস্থার দুই কর্মী টাকা আদায়ের জন্য এলাকায় গিয়েছিলেন। ওই ঋণ নেওয়া পরিবারের কোনও কথাই মানা হয়নি। বরং ‘বকেয়া’ সব টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া চলতে থাকে। এই অবস্থায় ওই দুই কর্মীর সঙ্গে বিবাদ শুরু হয় স্থানীয় মহিলাদের।এরপরেই ওই দুই কর্মীকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। তাদের আটকে রাখা হয় এলাকায়।

ওই সংস্থার আরও এক কর্মী সেখানে পৌঁছান। তাকেও আটকে রাখা হয়। এলাকার মহিলারা তিনজনকে ঝাঁটাপেটা করেন। লাঠিপেটাও করা হয় বলে অভিযোগ। ঋণ নেওয়া টাকা পরিশোধ করা হলেও, ওই সংস্থার তরফে দাবি করা হয় যে টাকা শোধ হয়নি। ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা কিস্তির টাকা নিয়েও জমা করেননি। ফলে বাকি পড়ে থাকছে ঋণের টাকা। টাকা দাবি করে ঘরের দরজা ভেঙে ফেলার অভিযোগও উঠেছে এজেন্টদের বিরুদ্ধে। যদিও এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি ওই সংস্থার কর্মীরা।

শেষ পর্যন্ত খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দুবরাজপুর থানার পুলিশ পৌঁছয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সকথা বলে আটক কর্মীদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে ওই সংস্থার আধিকারিকরা থানায় পৌঁছন। পুলিশকে জানানো হয়, আগামী ২৯ মার্চ ওই গ্রাহকদের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) দেওয়া হবে। সেই বিষয়ে মুচলেকাও দিতে হয় তাদের। এরপরেই ছাড়া পান ওই কর্মীরা।