বাংলা ভাল থাকলে দেশ ভাল থাকবে: ডান্ডিয়া-ভাংড়ায় জমজমাট দোল-হোলির মিলন উৎসবে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলায় সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে থাকেন। সব উৎসব একসঙ্গে পালন করা হয়। বুধবার, ধনধান্য স্টেডিয়ামে কলকাতা পুরসভা আয়োজিত দোলযাত্রা ও হোলির মিলন উৎসবে (Holi Festival)  এই বার্তা দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রঙের উৎসবে সবাই রঙিন হয়ে উঠুন-এই বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, সাংসদ মালা রায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা-সহ উপস্থিত ছিলেন অন্যরা।

এদিনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সূচনা করলেন হোলি উৎসবের (Holi Festival)। রঙের উৎসবে সকলকে রঙিন হয়ে ওঠার জন্য আহ্বান জানান তিনি। তবে অবশ্যই বাংলার পরম্পরা যেহেতু শান্তি তাই রং খেলার উৎসবেও যাতে শান্তি বজায় থাকে সেই আবেদন করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এর আগেও দোলের উৎসব পালন হত। কিন্তু সেটা কোনও ব্যক্তি বা সংগঠনের উদ্যোগে হত, তিনি তাতে যোগ দিতেন। কিন্তু এবার মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা পুরসভাকে (KMC) এই উৎসবের আয়োজন করতে বলেন। এদিন দোলযাত্রা ও হোলির মিলন উৎসবের আয়োজন করে পুরসভা। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলায় ভেদাভেদের কোনও স্থান নেই।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “মৈথিলী, বিহার সম্প্রদায়ের সকলের প্রোগ্রাম রাখব আগামী বছর। আগে থেকে ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের একটাই পরম্পরা। সবাই মিলেমিশে থাকবেন। আপনাদের মনুষ্যত্ব, মানবিকতা নিয়ে হোলি-দোল একসঙ্গে পালন করুন। আমরা চাই আপনারা শান্তিতে অনুষ্ঠান করুন।“

এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, “বিরোধীরা কিছু বললে কান দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এটা আমাদের কসমোপলিটন রাজ্য। একদিনের জন্য কেউ এসে ঝগড়া লাগিয়ে চলে যাবে। কিন্তু যখন আগুন জ্বলবে তখন সে থাকবে না। আমরা চাই না আগুন জ্বালাতে। আমরা শান্তি বজায় রাখতে চাই। বাংলা ভাল থাকলে দেশ ভাল থাকবে। বাংলা ৪/৫টি দেশের গেট-ওয়ে। ভৌগোলিকভাবে বাংলার গুরুত্ব অনেক বেশি।“
আরও খবরকেন্দ্রে টোটাল আনস্টেবল সরকার: জিএসটি-মণিপুর নিয়ে খোঁচা মুখ্যমন্ত্রীর

এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন ও বাবুল সুপ্রিয়র গাওয়া রবীন্দ্র সঙ্গীতের সঙ্গে নাচ পরিবেশন করেন অভিনেত্রী তথা নৃত্যশিল্পী ইন্দ্রানী দত্ত। অনুষ্ঠানে ডান্ডিয়া নৃত্য পরিবেশন করেন গুজরাটি সম্প্রদায়ের শিল্পীরা। তাঁদের অনুরোধে ডান্ডিয়ার ছন্দে তাল মেলাল মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে ঘিরে মঞ্চে মেতে ওঠে শিল্পীরা। এরপরে পাঞ্জাবী সম্প্রদায়ের মানুষ বোলো তারা রারা… সঙ্গে ভাংড়া নাচেন। তাঁদের মধ্যে গিয়ে উৎসাহ দেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। সব মিলিয়ে জমজমাট প্রাক্ দোল উৎসব।