মতুয়া মহাসঙ্ঘের মেলা হবে কি না সিদ্ধান্ত নেবেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের অতিরিক্ত কার্যনির্বাহী আধিকারিক। মামলার প্রেক্ষিতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। ঠাকুরনগরে মেলার আয়োজনের অনুমতি নিয়ে টানাপোড়েনের জন গড়ায় হাই কোর্টে। তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর (Mamatabala Thakur) ও বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) আবেদন ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদের অতিরিক্ত কার্যনির্বাহী আধিকারিককে মেলার অনুমতি দেওয়া বা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেন হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ১৯ মার্চের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে তাঁকে।

২৭ মার্চ থেকে ঠাকুরনগরে মতুয়া মহাসঙ্ঘের মেলা শুরু হওয়ার কথা। সাধারণত এই মেলা আয়োজনে প্রয়োজনীয় অনুমতি দেন জেলা পরিষদ সভাধিপতি। এবার মেলার দায়িত্ব রয়েছে মমতাবালার কাছে। কিন্তু এ বছরের মেলার আয়োজন করতে চেয়ে আবেদন করেন শান্তনু। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁকে কোনও জেলা পরিষদ সভাধিপতি জানাননি।

শান্তনুর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার জেলা পরিষদের সভাধিপতির অবস্থান জানতে চায় হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন হাই কোর্টে জেলা পরিষদের অতিরিক্ত কার্যনির্বাহী আধিকারিক জানান, আবেদনের স্বপক্ষে তথ্য ও নথি জমা দেননি শান্তনু। সেই কারণে আবেদনটি বিবেচনাধীন। অপরপক্ষে মমতাবালা পর্যাপ্ত নথি দিয়েছেন। সেই কারণে সেটি গৃহীত হয়েছে।
আরও খবর: হিন্দিতে রবীন্দ্রসংগীত গাইতে ৩ কোটি চাইলেন অরিজিৎ! বিস্মিত বাবুল

যদিও শান্তনুর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্যের দাবি, মেলা করার বিষয়ে কোনও আবেদনই নাকি জেলা পরিষদের কাছে করেননি মমতাবালা। গাইঘাটা থানায় আবেদন করেছেন তৃণমূল সাংসদ- দাবি শান্তনুর আইনজীবীর। বিল্বদল ভট্টাচার্যের দাবি, ১৯৭৩ সালের পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী ওই মেলার অনুমতি দিতে পারেন শুধুমাত্র জেলা পরিষদের সভাধিপতি। মমতাবালার আবেদনটি থানা থেকে জেলা পরিষদে যায়। কিন্তু তার আগেই শান্তনু জেলা পরিষদে আবেদন করেন বলে জানান তাঁর আইনজীবী। এই নিয়ে আইন অনুসারে জেলা পরিষদের সভাধিপতি সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ১৯ মার্চের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে তাঁকে।
–

–

–

–

–

–

–
