ভুয়ো ভোটার কার্ড (Voter Card) নিয়ে তৃণমূলের (TMC) লাগাতার চাপের কাছে ফের নতিস্বীকার জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দলের প্রবল চাপের মুখে পড়ে ডুপ্লিকেট এপিক কার্ডের সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে এবার ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের (Aadhar Card) সংযুক্তিকরণের ভাবনা শুরু জাতীয় নির্বাচন কমিশনের৷ ১৮ মার্চ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব, আধার কর্তৃপক্ষ ইউআইএডিএআই-র সিইও, আইন সচিব ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার৷

সূত্রের খবর, এই বৈঠকেই আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ডের (Voter Card) সংযুক্তিকরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে৷ এর আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেশের নির্বাচন পরিকাঠামোকে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দলের অভিমত জানতে চেয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷ ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সেই মতামত জানানোর অনুরোধও করা হয়েছে৷ রাজনৈতিক দলগুলির সুপ্রিমোদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকে বসার কথাও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷ এসবই করা হয়েছে ডুপ্লিকেট ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের অনড় অবস্থানের কাছে পিছু হটে৷


ভূতুড়ে ভোটার ইস্যুতে তৃণমূল যে কোনওভাবেই পিছু হটবে না, সেকথা জানিয়ে গত সপ্তাহেই দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে গিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছে তৃণমূল সংসদীয় প্রতিনিধি দল৷ সারা দেশে মোট কত ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড ইস্যু হয়েছে সেই সংখ্যা জানাতে হবে, দাবি তুলেছে তৃণমূল৷ একইসঙ্গে তাদের প্রশ্ন, তিন মাসের মধ্যে এই সমস্যা দূর করার আশ্বাস কীভাবে দিচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷ ডুপ্লিকেট এপিক ইস্যুতে সংসদে বিস্তারিত আলোচনার দাবিও তুলেছে তৃণমূল৷

বাংলার শাসকদলকে সমর্থন জানিয়ে এগিয়ে এসেছে কংগ্রেস, সপা, আরজেডি, আম আদমি পার্টি, বিজেডি সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি৷ এই আবহেই চূড়ান্ত ভাবে ব্যাকফুটে থেকে শনিবার নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ নিয়ে বৈঠক করা হবে৷ এর আগে ২০২১ সালে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধন করে আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণের কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে এখনও বিষয়টিকে ‘ঐচ্ছিক’ পর্যায়ে রাখা হয়েছে৷


শনিবার এই ইস্যুতেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে ফের নিশানা করেছে তৃণমূল শিবির৷ এই প্রসঙ্গে দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার ডেপুটি লিডার সাগরিকা ঘোষ বলেন, “এই সব পদক্ষেপ করে আসলে নির্বাচন কমিশন নিজেদের মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করছে৷ এই কারণেই প্রথমে তিনটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে, তার পরে এখন এই বৈঠকের কথা জানানো হচ্ছে৷ আমরা কমিশনের উপরে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি বজায় রাখছি৷”

–

–

–

–

–
