বাংলাদেশে পালাবদলের প্রায় ৬ মাস পর হাসিনার পতন নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। জানালেন, পদ্মাপাড়ের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর গদিচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনার কথা আগেই টের পেয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina)কোনও সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা ভারতের ছিল না। তাই কেন্দ্র সরকার পরামর্শ দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি বলে জানান বিদেশমন্ত্রী।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’-র প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার বিদেশমন্ত্রকের পরামর্শদাতা কমিটির (Consultative Committee) মুখোমুখি হয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ‘বাংলাদেশে যে শেখ হাসিনা বিরোধী একটা আবহ তৈরি হয়েছে, তা আমরা আগেই টের পেয়েছিলাম।’এই প্রসঙ্গে তিনি রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগের প্রধান ফলকার টুর্কের সাম্প্রতিক মন্তব্য উল্লেখ করেন। জয়শঙ্কর বলেন, হাসিনা বিরোধী বিক্ষোভের সময়ে নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ নিয়ে বাংলাদেশের সেনাকে সতর্ক করা হয়েছিল। বিদেশ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের কেসি বেণুগোপাল, মণীশ তিওয়ারি, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে)-র প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী। সকলের উপস্থিতিতেই বাংলাদেশ নিয়ে নয়াদিল্লির অবস্থানও ব্যাখ্যা করেন বিদেশমন্ত্রী। হাসিনা পরবর্তী সময়ে অবশ্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুব একটা মসৃণ পথে এগোয়নি। ঢাকা নয়াদিল্লির কাছে মোদি- ইউনূসের বৈঠকের আর্জি জানালেও ভারত এখনও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। ফলে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েই গেছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গত ৬ মাসে যেভাবে ভারতকে মৌখিকভাবে আক্রমণ করেছে বাংলাদেশ এবং সব ক্ষেত্রেই কার্যত নীরবতা বজায় রেখেছে সেদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সেই বিষয়টা ভালো চোখে দেখেনি নয়াদিল্লি। এই বৈঠকে বিদেশমন্ত্রীর মুখে বাংলাদেশের পাশাপাশি উঠেছে চলতি মায়ানমার পরিস্থিতির কথাও।বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, তুলনায় উত্তর-পূর্ব ভারতের মায়ানমার লাগোয়া রাজ্যগুলির নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ভারত।

–

–


–


–

–

–

–
–

–
