বাংলাকে শিল্পবন্ধু করে তুলেছেন মমতা, একবাক্যে সওয়াল শিল্পমহলের

সবাই এক বাক্যে বাংলায় বিনিয়োগের পক্ষে সওয়াল করলেন

কুণাল ঘোষ, সফরসঙ্গী

লগ্নিতে ব্রিটেন-বাংলার সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে শিল্প সম্মেলনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গী রাজ্যের আমলা ও বাংলার শিল্প প্রতিনিধিরা।সবাই এক বাক্যে বাংলায় বিনিয়োগের পক্ষে সওয়াল করলেন।  অম্বুজা নেওটিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান হর্ষ নেওটিয়া বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ মনে রাখার মতো। তিনি বিশ্বাস করেন রাজ্যে শিল্পের পরিবেশ আছে।পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। আমার অভিজ্ঞতা অনেক ভাল।রাজ্যে শিল্প সম্ভাবনা গড়ে তোলার জন্য সব সময় সক্রিয় মুখ্যমন্ত্রী।এক জানলা ব্যবস্থা সাহায্য করবে।কলকাতার পরিবেশ অত্যন্ত ভাল।বাংলা সেরা জায়গা বিনিয়োগের জন্য।বাংলার সর্বত্র উন্নয়ন হয়েছে।

লুক্সমি গ্রুপের এমডি ও ওবেটির চেয়ারম্যান রুদ্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গ অত্যন্ত দ্রুত শিল্প গড়ে ওঠার পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে। দার্জিলিং চা এর রফতানি হয় ব্রিটেনে। চা শিল্পের উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী সচেষ্ট।অনেক সুযোগ করে দিচ্ছে রাজ্য।উত্তর পূর্ব ভারত, বাংলাদেশ ও নেপালের গেটওয়ে বাংলা। এ রাজ্যের দার্জিলিং চা বিশ্ব সেরা। আরপি-সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান শ্বাশত গোয়েঙ্কা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তার মন্ত্রিসভাও যথেষ্ট সক্রিয়। তার লক্ষ্য রাজ্যের উন্নয়ন। এফেক্টিভ সরকার। এখানে বিনিয়োগ করা যথেষ্ট ভাল। আসুন এখানে বিনিয়োগ করুন।যে কোনও দরকারে মুখ্যমন্ত্রীকে পাওয়া যায়।

প্যাটন ইন্টারন্যাশনালের এমডি  সঞ্জয় বুধিয়া বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সবসময় পজিটিভ ভাবেন। রাজ্যে ওখানে শ্রমিক সমস্যা নেই। শ্রমদিবস নষ্ট হয় না।মুখ্যমন্ত্রী  ব্যবসার ডিজিটালাইজেশন, লালফিতের ফাঁস আলগা করে রাজ্যে শিল্পবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলেছেন।    সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর সত্যম রায়চৌধুরীর বক্তব্য,  সিস্টার নিবেদিতা ইউনিবার্সিটি এই বাংলাতেই। আমার প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে প্রথন স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি গড়তে সাহায্য করেছেন।আসুন বাংলায় বিনিয়োগ করুন।দ্রুত সিদ্ধান্ত, দ্রুত কাজ।

রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজর প্রেসিডেন্ট    তরুণ ঝুনঝুনওয়ালা বলেন, রাজ্যে শিল্পবান্ধব পরিবেশ আছে।এই বাংলাতে রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ জন্মেছেন। মুখ্যমন্ত্রী সবসময় শিল্প গড়তে সাহায্য করেন।শিল্প গড়ার জন্য বাংলায় পদ্ধতি অনেক সহজ করা হয়েছে। ধুনসেরি ভেঞ্চারসের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চন্দ্রকুমার ধানুকা বলেন, এটা মমতা দিদির নতুন বাংলা। আসুন, দেখুন, আপনারাও ভালোবাসবেন। আমার কাছে সেরা বাংলা।

টেগা ইন্ডাস্ট্রিজর এমডি মেহুল মোহঙ্কা বলেন, ওখানে শ্রমিক সমস্যা নেই। শ্রমদিবস নষ্ট হয় না। কল্যাণীতে তিনশ কোটি বিনিয়োগ করব আমরা। টিটাগড় রেল সিস্টেমের ভাইস চেয়ারম্যান ও এমডি   উমেশ চৌধুরী বলেন, বাংলায় কারখানা করার সুবিধা অনেক। দক্ষ শ্রমিক রয়েছেন। খরচ কম। সরল সরকারি নীতি। মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নে সঙ্গী করছেন শিল্পমহলকে।

এক কথায়, সবাই বাংলায় লগ্নি কেন করা সম্ভব, সে কথা শিল্প বৈঠকে তুলে ধরেন।