Thursday, August 21, 2025

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পানাগড়ের (Panagarh Accident Case) কাঁকসায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয় নৃত্যশিল্পী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের। ইভটিজিং করে তাঁর গাড়ি ধাওয়া করার ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ ওঠে। দাবি, সে কারণেই সুতন্দ্রার গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। সুতন্দ্রার মৃত্যুর উপযুক্ত তদন্তের আর্জি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তার মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়। তার অভিযোগ ছিল, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে খুন করা হয়ছে সুতন্দ্রাকে। তাকে যৌন ইঙ্গিত মিশ্রিত কটূক্তিও করা হয়েছে।সুতন্দ্রার গাড়ির চালক রাজদেও শর্মাকে দুর্ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানার পুলিশ।

মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্য স্পষ্ট জানায়, কোনও ইভটিজিং হয়নি। রাজ্যের আইনজীবী এদিন  বলেন, দায়ের হওয়া অভিযোগের প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তার ভিত্তিতে আসানসোল পুলিশ কমিশনারেট সিসিটিভি ফুটেজও চেক করেছে। একই অভিযোগ চন্দননগর থানাতেও করা হয়।যদিও তিন জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বলেছেন যে কোনও ইভটিজিং হয়নি। মায়ের বয়ানও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এরই পাশাপাশি, সুতন্দ্রার মা যে আর কোনও অভিযোগ করতে চান না, এমনটাও জানিয়েছে রাজ্য।     এদিন আদালতে আইনজীবী বলেন, মৃতার মায়ের যে বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে তাতে তিনি জানিয়েছেন, তিনি ফের আর কোনও অভিযোগ করতে চান না। এদিকে চন্দননগর থানার রিপোর্ট কাঁকসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।বিচারপতির জানিয়েছেন, কাঁকসা ও চন্দননগর থানার আইসি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। কেস ডায়েরি পরবর্তী শুনানিতে জমা দিতে হবে।

পানাগড়ের ঘটনা নিয়ে পুলিশ সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছিল, এটি রেষারেষির ঘটনা, কোনও কটূক্তি করা হয়নি। দুর্ঘটনার কদিন পর আবার সুতন্দ্রার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হন তার গাড়িরই চালক। আসলে তিনি বয়ান বদল করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘ইভটিজিং হয়নি। আমাদের গাড়িতে ধাক্কা দেওয়ায় সুতন্দ্রা বলেছিল সাদা গাড়িকে ধাওয়া করতে। তাই ১০০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি ছুটিয়েছিলাম। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজেও বারবার দেখা যায় সুতন্দ্রাদের গাড়িটি আগে থাকা একটি সাদা গাড়িকে তাড়া করছে।

উল্লেখ্য, ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে গাড়ি উল্টে মৃত্যু হয় হুগলির চন্দননগরের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্ণধার ও নৃত্যশিল্পী সুতন্দ্রার। মৃতার মা বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি  করেছিলেন। তার দাবি ছিল, পুলিশের উপরে ভরসা আছে। ওরা যে রকম তদন্ত করছে, করুক। কিন্তু আমি আরও স্বচ্ছতা চাই। কেন বয়ান বদল হয়েছে? ঠিক কী ঘটেছিল? কে দোষী? জানতে চাই।

 

 

 

Related articles

নিরপেক্ষতা, মর্যাদা, আলোচনা: উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নে সুদর্শন রেড্ডির শপথ

আমার জীবন জনগণের সেবায় নিয়োজিত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি থেকে শুরু করে একজন আইনের ছাত্র হিসেবে ভারতের গণতান্ত্রিক প্রথা,...

“ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচটা নিজেকে প্রমাণ করার ছিল”: জবি জাস্টিন

ইস্টবেঙ্গল (Eastbengal) তাঁকে ছেড়ে দিয়েছিল। একটা সুযোগ খুঁজছিলেন নিজেকে প্রমাণ করার। ডুরান্ডের (Durand Cup) সেমিফাইনালেই প্রাক্তন দল ইস্টবেঙ্গলের...

অভিষেকের পেপটকেই ইস্টবেঙ্গল বধ DHFC-র: ফাঁস করলেন মানস ভট্টাচার্য

প্রথমবার ডুরান্ড খেলতে নেমেই বাজিমাতের পথে ডায়মন্ড হারবার এফসি। আর দলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) পেপটকেই (pep...

আমন্ত্রণ আসেনি: শুক্রবার কী করবেন দিলীপ ঘোষ, অকপট, অভিমানী

কাজের সময় কাজি, কাজ ফুরোলেই পাজি। যে দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বঙ্গে বিজেপির উত্থান, শুভেন্দু-সুকান্ত জমানায় সেই দিলীপকেই...
Exit mobile version