পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথাতেই নষ্ট করা হয়েছে ওএমআর শিট। এই প্রথম ওএমআর শিট নষ্টে পার্থর ভূমিকা উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার আদালতে জামিনের বিরোধিতা করল সিবিআই। তদন্তকারী দলের আইনজীবী বলেন, পার্থ মন্ত্রী ছিলেন। তিনিই মাস্টারমাইন্ড। তার নেতৃত্বেই দুর্নীতি হয়েছে।

এরই পাশাপাশি, সিবিআইয়ের দাবি, ৭৫২ জনের একটি তালিকা পাওয়া গিয়েছে। এই তালিকাটি পার্থকে পাঠিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। তালিকায় যাদের নাম ছিল তারা প্রত্যেকেই অযোগ্য। কাউকেই ইন্টারভিউ করা হয়নি। নথি খতিয়ে দেখার পর নম্বর দিতে হয়। পার্থর কথায় নষ্ট করে দেয়া হয় কয়ে ওএমআর শিট।

এদিন আদালতে সিবিআই দাবি করে, এই পুরো ঘটনার সঙ্গে অনেক রাজনৈতিক প্রভাবশালী যুক্ত আছেন। তাই পার্থ জামিন পেলে তদন্ত বিঘ্নিত হবে। সিবিআইয়ের দাবি, ১৫ জনের একটি তালিকা দেন পার্থ। তার মধ্যে ১০ জনকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়। এছাড়া, ওয়ার হাউস থেকে ৩২১ জনের একটি তালিকা পাওয়া যায়।এই তালিকাটি তিনি মানিককে পাঠিয়েছিলেন। সেই তালিকা থেকে ১৩৪ জনকে নিয়োগ হয়েছে।তদন্তকারীদের অনুমান, বিভিন্ন ‘প্রভাবশালী’ ব্যক্তিই তাঁদের নাম সুপারিশ করেছিলেন। অনুমানের কারণ, নথিতে সেই সব ‘প্রভাবশালী’র নাম-পরিচয়ের উল্লেখ রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই এ বার ওই তালিকায় থাকা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।

প্রসঙ্গত, ২০২২ এর জুলাই মাস থেকে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলবন্দি। প্রথমে ইডি এবং পরবর্তী সময়ে সিবিআই তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে বহুবার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন করলেও, বারবারই তা খারিজ হয়ে যায়। এই মামলার রায়দান ৩ এপ্রিল।


–


–

–

–

–
–

–

–