নাইটদের স্পিন আক্রমণে কুপোকাত ধোনির সিএসকে

চিপকে চেন্নাই সুপার কিংসের(CSK) বিরুদ্ধে নামার আগেই আত্মবিশ্বাসের সুরটা শোনা গিয়েছিল ভেঙ্কটেশ আইয়ারের(Venkatesh Iyer) গলায়। এই ম্যাচে যে স্পিনই যে তাদের প্রথম অস্ত্র ছিল তাও বলেছিলেন তিনি। হলও তেমনটাই। নাইট রাইডার্সের(KKR) স্পিন আক্রমণের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল চেন্নাই সুপার কিংস। ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতল কেকেআর(KKR)। নারিন(Sunil Narine) , বরুণ(Varun Chakravarthy) এবং মোঈন আলি। এই তিন স্পিনারের সামনেই শেষ ধোনি ব্রিগেড। অধিনায়ক হওয়ার পর প্রথম ম্যাচ ছিল ধোনির কাছে। মাত্র ১ রানেই শেষ ধোনি। চিপকের স্টেডিয়াম থালার জন্য ভরে উঠলেও, হতাশা ছাড়া এদিন কিছুই পায়নি তারা।

নারিনের(Sunil Narine) তিন উইকেট। বরুণ(Varun Chakravarthy) পেয়েছেন দুটো। আর মোঈন আলির শিকার এক উইকেট। স্পিনারদের ঝুলিতে এই ৬টা উইকেটই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। একটা সময় তো মনে হচ্ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের রান বোধহয় ১০০ রানের গন্ডীও টপকাবে না। কিন্তু শিবম দুবের হাত ধরে সেই লজ্জা থেকে বেঁচেছে ধোনি বাহিনী। তবে নাইট বোলারদের দাপটে এটাই চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে তাদের সর্বনিম্ন স্কোর।

টস জিতে এদিন প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অজিঙ্ক রাহানে। শুরু থেকেই ছিল নাইট(KKR) বোলারদের দাপট। রাচিন রবীন্দ্রকে অবশ্য শুরুতেই ফেরান হর্ষিত রানা। এরপর থেকেই শুরু স্পিনারদের জাদু। ১২ রানে কনওয়েকে থামান মোঈন আলি। রাহুল ত্রিপাঠি শিকার সুনীল নারিনের। শুধু তাই নয় রবীন্দ্র জাদেজা এবং এমএস ধোনিকেও(MS Dhoni) সাজঘরে ফিরিয়ে দেন তিনিই। ধোনি করেন ১ রান। জাদেজা শূন্য। বরুণ চক্রবর্তী তুলে নেন বিজয় শঙ্কর এবং দীপক হুডাকে। শিবম দুবের হাত ধরে কোনওরকমে ১০৩ রানে পৌঁছয় সিএসকে।

সেই রান তুলতে অবশ্য খুব একটা বেশি সময় নেয়নি কেকেআর(kkr) ব্যাটাররা। ডিকক এবং নারিন শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। ডিকক তাড়াহাড়ু না করলে ১০ উইকেটেই জিততে পারত তারা। ২৩ রানে সাজঘরে ফেরেন কুইন্টন ডিকক। নারিনও(Sunil Narine) অবশ্য শেষ পর্যন্ত থাকতে পারেননি। ১৮ বলে ৪৪ রানের ঝোরো ইনিংস খেলে ফেরেন তিনি। তবে নাইটদের খুব একটা বেশি ভাবতে হয়নি। রিঙ্কু এবং রাহানের হাত ধরে ম্যাচ জিতে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স।