Wednesday, August 20, 2025

রায় জনস্বার্থে: আইন তৈরিতে রাষ্ট্রপতিকে সুপ্রিম-নির্দেশ, স্বাগত স্পিকার বিমানের

Date:

রাজ্যের বিধানসভায় পাস হওয়া বিলকে আইনে পরিণত করতে আর দেরি করতে পারবেন না রাজ্যপাল (Governor) বা রাষ্ট্রপতি (President)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের জেরে স্বস্তিতে রাজ্যগুলি বিশেষত বিরোধী রাজনৈতিক দল পরিচালিত রাজ্যগুলি, যাদের ক্ষেত্রে বিলকে আইনে পরিণত হতে রাজ্যপালের মাধ্যমে বারবার বাধা তৈরি করেছে কেন্দ্রের স্বৈরাচারী মোদি সরকার। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর স্বস্তি বাংলাতেও। কারণ ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রায় ২৩ বিল (Bill) আটকে রয়েছে রাজ্যপালের স্বাক্ষরের অপেক্ষায়। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের অপেক্ষাতেও আটকে রয়েছে বিল। নতুন রায়ে বাংলার সেই সব বিল আইনে পরিণত করতে সুবিধা হবে, দাবি রাজ্য প্রশাসনে।

বিলকে আইনে পরিণত করতে সিদ্ধান্ত নিতে রাষ্ট্রপতিকে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় স্বস্তির কথা জানালেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে আমরা আনন্দিত। কারণ একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন বিল (Bill) কার্যকর না হলে তার তাৎপর্য হারিয়ে যায়। আমাদের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা থেকে পাঠানো ২৩ টা বিল রাজ্যপালের কাছে আটকে রয়েছে। এমনকি ২০১৫ সালে পাস হওয়া দিল আটকে আছে। যেশপ (Jessop) এর মতো বিল যেগুলি জনস্বার্থে করা হয়েছিল তা আটকে আছে। সেগুলো কি অবস্থায় আছে তার কোন হদিস আমরা জানি না।

আদতে যে রাজ্যপাল কোনও বিল আটকে রাখতে পারেন না বা সমস্যা থাকলে নোট পাঠাতে পারেন, সেই বিষয়টিও স্পষ্ট করে দেন স্পিকার। তিনি জানান, ভারতীয় সংবিধানের আর্টিকেল ২০১ ধারায় বলা আছে, রাজ্যপালের কাছে কোন বিল বিধানসভা থেকে পাস হয়ে যাওয়ার পর তিনি তাতে সই করে পাঠাবেন। সেখানে তার যদি কোন মত বা কোন অনুসন্ধান থাকে তাও জানাবেন। তার উপর আবার বিধানসভায় আলোচনা হবে। আবার তাকে সেই বিল পাঠানো হবে। তখন তিনি সেই বিল সই করে দিতে বাধ্য থাকবেন।

এমনিতেই সংবিধান অনুযায়ী বলা আছে যে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ৯০ দিন কিংবা কোন কোন ক্ষেত্রে ৬০ দিন কিংবা কোন কোন ক্ষেত্রে ৩০ দিনের মধ্যে যদি কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া না হয় অথবা সেই সম্পর্কে কোনও নোট দেওয়া না হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে সেটি আইনত পাস হয়েছে। এক্ষেত্রে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) ক্রিমিনাল প্রসিডিংস-এর কথা উল্লেখ করে জানান, অনেক ক্ষেত্রে ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট বা আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে না পারলে ক্রিমিনাল স্ট্যাটুটোরি বেল পেয়ে যায়। মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট যে কথা বলেছেন তাকে স্বাগত জানাচ্ছি এই কারণেই, রাজ্যপালের ক্ষেত্রে যেমন সময় নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে, তেমনই রাষ্ট্রপতির (President) কাছে যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলি পাঠানো হয় অনুমোদনের জন্য, এবার সময় নির্দিষ্ট করে সেই বিল যদি সই করতে বলা হয়ে থাকে, তাহলে সেটা জনসাধারণের ক্ষেত্রেই অত্যন্ত সুখের খবর। কারণ রাজ্য সরকার কাজ করে মানুষের স্বার্থেই।

Related articles

JPC-র ঢাল দিয়ে লোকসভায় পেশ কালো আইন: সরব বিরোধীরা

গায়ের জোরে ২০২৩ সাল থেকে একের পর এক বিল পাশ, আইন পাশ করানোই নাগরিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থ মোদি...

অভিনেত্রী নয়, ‘নেত্রী’ হওয়ার জন্য আয়নার সামনে ভাষণ প্র্যাকটিস সাবিত্রীর!

বাংলা সিনেমা জগতের কিংবদন্তি অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় (Sabitri Chatterjee) নাকি রাজনৈতিক নেত্রী হতে চেয়েছিলেন! আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রীতিমত...

হিটলারি আঘাত: ‘গণতন্ত্র হত্যাকারী’ সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় গর্জে উঠলেন মমতা

“কালো দিন, কালো বিল“ লোকসভায় সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ হওয়ার পরেই গর্জে উঠলেন বাংলা মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC)...

দেশে ফেরা হল না! আফগানিস্তানে বাসে ভয়াবহ আগুন লেগে মৃত ৭৮ যাত্রী

ভয়াবহ দুর্ঘটনা আফগানিস্তানে। ট্রাক ও মোটর সাইকেলের সংঘর্ষে জ্বলে উঠল আগুন। বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড যাত্রীবোঝাই বাসে। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে...
Exit mobile version