যে কোনও দেশ বা রাজ্যের উন্নতির মাপকাঠি সেই স্থানের শিল্পের উন্নয়ন। বাংলায় তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরে যেভাবে শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়েছে তার প্রমাণ বিদ্যুতের চাহিদায় ব্যাপক বৃদ্ধি। কারণ শিল্পক্ষেত্রেই বিদ্যুতের চাহিদা (electricity comsumption) সবথেকে বেশি থাকে। সেই সঙ্গে রাজ্যের উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের কারণেই বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে গৃহস্থের। যা প্রমাণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সময়ে রাজ্যের মানুষের জীবনযাত্রার সামগ্রিক মানোন্নয়ন। সোমবার শালবনিতে (Salbani) জিন্দাল গোষ্ঠীর (JSW) তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের শিলান্যাস করতে গিয়ে ২০১১ সাল থেকে রাজ্যে যেভাবে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে তারই পরিসংখ্যান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

শিলান্যাসের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানান, আগে ২ হাজার মেগাওয়াট (megawatt) বিদ্যুৎ প্রয়োজন হত। এখন প্রয়োজন হচ্ছে ১০ হাজার মেগাওয়াট। আমরা পরিকল্পনা করছি ১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের। তার মধ্যে দুটি জেএসডব্লু (JSW) শালবনিতে করছে।

এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের উদ্যোগেও বাড়ানো হচ্ছে বিদ্যুতের উৎপাদন। পরিসংখ্যান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ দফতর করছে আরও পাঁচটি নতুন প্রকল্প। সেগুলি হচ্ছে – সাঁওতালডিহি, দুর্গাপুর, সাগরদিঘি, বক্রেশ্বরে। এর জন্য আরও ৪৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে রাজ্য সরকারের তরফে। তার মধ্যে সাগরদিঘিতে ৬৬০ মেগাওয়াট, বক্রেশ্বরে ৬৬০ মেগাওয়াট, সাঁওতালডিহিতে দুটি ইউনিট ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রায় প্রস্তুত বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

বাম আমলে লোডশেডিংয়ের সরকারকে ফের একবার কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বর্তমানে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হয়েছে ৭৬ হাজার কোটি খরচ করে, পরিসংখ্য়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তার জন্য প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কিমি নতুন বিদ্যুতের লাইন পাতা হয়েছে। তৈরি হয়েছে ৭৫০টির বেশি সাব-স্টেশন।

সেই সঙ্গে রাজ্যে বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগে ১ কোটি ৭ লক্ষ গ্রাহক ছিল। বর্তমানে ২ কোটি ৩০ লক্ষ গ্রাহক। অর্থাৎ ১১০ শতাংশ বৃদ্ধি গ্রাহকের। রাজ্যে বিদ্যুতের দাম ও অন্যান্য পথে জীবনযাত্রার মান নিরাপদ থাকাতেই সাধারণ আলো-পাখার পাশাপাশি ফ্রিজ, দামি টিভি, এয়ার কন্ডিশনের ব্যবহার করতে পারছেন বলে শালবনি থেকে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
–

–

–

–

–


–
