জঙ্গি হামলা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক! পাকিস্তানিদের ভারতে আসা বন্ধ, বাতিল হচ্ছে ভিসাও 

মঙ্গলবার দুপুরে গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে পহেলগামের বৈসরন। ‘হিন্দু’ কিনা জিজ্ঞাসা করে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় ২৬ জনকে। ওই ঘটনার দায়স্বীকার করেছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তাইবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)।

এই ঘটনার পরই সৌদি আরব সফর কাটছাঁট করে বুধবার ভোরেই দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই নারকীয় হত্যালীলার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে এদিনই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হওয়া সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সহ আরও অনেকে। ওই বৈঠক শেষ হতে না হতেই সাংবাদিক বৈঠকে বসে বিদেশমন্ত্রক। ভিসা বাতিল ছাড়াও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এক গুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র সরকার।

বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, সিন্ধু জলচুক্তি আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ না করা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। পাশাপাশি পাকিস্তানিদের জন্য সমস্ত ‘সার্ক’ ভিসা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আগে যে ভিসাগুলি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলিও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ওই ভিসার মাধ্যমে যে পাকিস্তানিরা বর্তমানে ভারতে রয়েছেন, তাঁদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে। বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ওয়াঘা-আট্টারি সীমান্তও। ওই সীমান্ত পথে যাঁরা ইতিমধ্যে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের ভারত থেকে ফেরার জন্য ১ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আধিকারিকদের ‘অবাঞ্ছিত’ হিসাবে ঘোষণা করেছে নয়াদিল্লি। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ইসলামবাদেও ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আধিকারিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারতে থাকা পাকিস্তানি দূতাবাসের আধিকারিক সংখ্যাও আগামী ১ মে থেকে ৫৫ থেকে ৩০-এ নামিয়ে আনতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন – বিশ্ব বই দিবসে প্রকাশিত হল দেবযানী বসু কুমারের ‘গাল গল্প’

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_