আধ্যাত্মিকতা ও সম্প্রীতির মিশেল: দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন উপলক্ষ্যে পৌঁছে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

অক্ষয়তৃতীয়ার দিন আড়াইটে উদঘাটনের সময়। সাতদিন ধরে যজ্ঞ চলছে। কালও যজ্ঞ চলবে। পরশু সকাল থেকে ঠাকুর প্রতিস্থাপনার বিভিন্ন উপাচার

পুরোনোকে পাথেয় করে নতুনের পথে চলা। দিঘায় মিশবে আধ্যাত্মিকতা ও সম্প্রীতি। সকলকে আহ্বান জানিয়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath temple) দ্বারোদঘাটন উপলক্ষ্যে সোমবারই দিঘা পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জানালেন, দিঘার যে রূপ আগেও দেশ বিদেশের পর্যটকদের আকৃষ্ট করেছে, সেই মুকুটে নতুন পালক এই জগন্নাথ মন্দির।

বুধবার প্রাণপ্রতিষ্ঠার (consecration) আগে সাতদিন ধরেই দিঘায় চলছে না না উপাচার। মুখ্যমন্ত্রী দিঘা (Digha) পৌঁছে জানান, উদঘাটনের নির্দিষ্ট সময় থাকে। অক্ষয়তৃতীয়ার দিন আড়াইটে উদঘাটনের সময়। সাতদিন ধরে যজ্ঞ চলছে। কালও যজ্ঞ চলবে। পরশু সকাল থেকে ঠাকুর প্রতিস্থাপনার বিভিন্ন উপাচার। তারপরে দ্বারোদঘাটন আড়াইটে।

এই মন্দিরকে ঘিরে বাঙালির তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অনেক আশা ও স্বপ্ন। তাঁরই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এত দ্রুত এই মন্দির স্থাপন ও সেখানে প্রবেশ সম্ভব হচ্ছে। তবে সমুদ্রকেই যেন এর কৃতিত্ব দিতে চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সমুদ্রের মধ্যে বাংলার সবথেকে বড় শান্তির প্রতীক নামধাম প্রাপ্তি। শ্রী চৈতন্যদেবের অনেকদিন পুরীতে ছিলেন। তাঁর মুখ দিয়েই এই কথাটি বেরিয়েছিল – নয়ন পথগামী জগন্নাথ।

পুরীর জগন্নাথ ধামের ঐতিহ্যের সঙ্গে আগামীর জন্য বাঙলার কৃষ্টির প্রতীক হয়ে থাকবে দিঘার এই জগন্নাথ ধাম (Digha Jagannath temple)। সেই কৃষ্টির কথা তুলে ধরতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, হাজার হাজার বছর ধরে বাংলার স্থাপত্যের নিদর্শন থাকবে। নতুন প্রজন্ম ও বর্তমান প্রজন্মের জন্য একটি নতুন কৃষ্টি, সংস্কৃতি, সম্প্রীতির মিলিত হওয়ার প্রতীক। একদিকে আধ্যাত্মিকতা, অন্যদিকে সম্প্রীতি।

সৈকত নগরী দিঘার মুকুটে নতুন পালক জগন্নাথ মন্দির নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে জানান, দিঘার মন্দির নিশ্চয়ই একটি আলাদা পালক যুক্ত করবে। উচ্চশিখরে তুলবে। দিঘার যে চেহারা ইতিমধ্যেই পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে, আরও করুক। আগে কিছুই ছিল না। এখন দিঘাগেট, সৈকত সরণী, সাত কিলোমিটার ব্রিজ হয়েছে। দিঘা ইন্টারন্যাশানাল প্লেস অফ ট্যুরিজম হবে।

সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দিঘা যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মন্ত্রী পুলক রায়। দিঘা পৌঁছেই মন্দির প্রাঙ্গন ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন পুরীর দ্বৈতপতি ও ইসকনের পুরোহিতদের সঙ্গে। তাঁরাই মুখ্যমন্ত্রীকে মন্দির পরিভ্রমণে সহযোগিতা করেন।