দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে সৌজন্য মুখ্যমন্ত্রী: আমন্ত্রিত বিমান-দিলীপ-প্রদীপ

দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে অনুষ্ঠানেও চরম সৌজন্যের পরিচয় দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আমন্ত্রণ জানানো হল বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএম নেতা রবীন দেব, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যকে। একাধিক সংগঠনকে আমন্ত্রণের সৌজন্য দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

দিঘায় সাড়ম্বরে উদ্বোধন করা হচ্ছে জগন্নাথ মন্দিরের। মঙ্গলবার, হয় মহাযজ্ঞ। মহাযজ্ঞে পূর্ণাহুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবারের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানসূচি জানিয়ে মমতা বলেন, বেলা আড়াইটা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে। তিনটের সময় দ্বারোদ্ঘাটন। তারপরে জনতার জন্য খুলে দেওয়া হবে জগন্নাথ মন্দির। ঐতিহাসিক উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকেও। আমন্ত্রণ করা হয়েছে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রবীন দেব-সহ একাধিক বাম নেতাকে। আমন্ত্রণের চিঠি পাঠানো হয়েছে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকেও। সূত্রের খবর, তিনি সস্ত্রীক আসার চেষ্টা করছেন। সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতাকেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্যকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। একইভাবে একাধিক সংগঠনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টদের পাশাপাশি প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতাদেরও আমন্ত্রণ করেছেন তিনি।
আরও খবর: চিরকাল মা-মাটি-মানুষ গোত্রে পুজো করি: দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে মহাযজ্ঞে পূর্ণাহুতি দিয়ে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

সূত্রের খবর, নববিবাহিতা স্ত্রী রিঙ্কু ঘোষকে নিয়েই বুধবার হাজির হতে পারেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। কয়েকদিন আগেই বাংলাকে চমকে দিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বিজেপি (BJP) নেতার বিয়ের আগাম খবর দেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বিয়ের দিন শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজনৈতিক সৌজন্য বরাবরই বজায় রাখেন তিনি। বিশ্ববাংলার লোগো বসানো খামে অফিসারেরা মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা নিয়ে দিলীপের কাছে পৌঁছোন। সঙ্গে মিষ্টি ও পুষ্পস্তবক পাঠান মমতা। তাঁকে ধন্যবাদ জানান দিলীপ ঘোষ। সোমবারই বর্ধমানে দিলীপ মন্দিরে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। বলেন, “আমি সুযোগ পেলে দিঘা যাব। মন্দিরের জায়গায় মন্দির থাকবে। ভগবানকে নিয়ে রাজনীতি নয়। জগন্নাথ পুরী থেকে এতদূর চলে এলেন, আর আমরা একটুখানি যাব না?“