প্রত্যেক রাজ্য-কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে ব্ল্যাক আউট করে মক ড্রিল করানোর নির্দেশ কেন্দ্রের

Date:

Share post:

পঞ্জাবের মতো সব রাজ্যে (State) ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ব্ল্যাক আউট (Blackout) করে মক ড্রিল (Mock Drill) করানোর নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ৭ মে সিভিল ডিফেন্সকে মক ড্রিল করানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। নাগরিক ও ছাত্রদের মক ড্রিল করাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্ল্যাক আউট থেকে এয়ার রেড সাইরেন-সব প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পহেলগামে (Pahalgam) হামলার পরে কেটে গিয়েছে ১৩ দিন। এখনও জঙ্গিরা ধরা পড়েনি। জম্মু-কাশ্মীর-সহ বিভিন্ন জায়গায় চলছে তল্লাশি। উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তে মক ড্রিল (Mock Drill) চালাচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনী। এবার বিভিন্ন রাজ্যকে মক ড্রিল করার নির্দেশ দিল কেন্দ্র।

সাধারণত যুদ্ধের সময় বিপক্ষের নজর এড়াতে বা শত্রুপক্ষের বায়ুসেনাকে বিভ্রান্ত করতে আলো নিবিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়। সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, ৭ মে বুধবার এই মহড়া মহড়া দিতে বলা হয়েছে।

যে যে বিষয়ে মহড়া দিতে বলা হয়েছে-

  • বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন ব্যবস্থাকে সক্রিয় করা
  • হঠাৎ ব্ল্যাকআউট হলে কী করণীয় তা দেখানো
  • সুরক্ষার স্বার্থে নাগরিকদের, বিশেষত পড়ুয়াদের ভূমিকা কী হবে
  • জরুরি পরিস্থিতিতে কী ভাবে দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানো হবে

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, এই মহড়ার মাধ্যমে সাধারণ নাগরিকদের শত্রু হামলার সময় কীভাবে দ্রুত এবং সঠিক পদক্ষেপ নিতে হয়, তা শেখানো হবে। মহড়ার সময় বিভিন্ন এলাকায় এয়ার রেইড সাইরেন বাজানো হবে, ছাত্রছাত্রী এবং সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে প্রয়োজনে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে এলাকা অন্ধকার করে দেওয়ার প্রক্রিয়া, অর্থাৎ ‘ক্র্যাশ ব্ল্যাকআউট’ এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো ঢেকে রাখার কৌশল প্রয়োগ করা হবে। পুরনো ইভাকুয়েশন পরিকল্পনাও আপডেট করে পুনরায় পরীক্ষিত করা হবে।

রবিবার রাত ৯টা নাগাদ পঞ্জাবের ফিরোজ়পুর ক্যান্টনমেন্টে ‘ব্ল্যাকআউট ড্রিল’ করেছে সেনাবাহিনী। এ নিয়ে আগে থেকেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছিল। এই জাতীয় মহড়ার মাধ্যমে কেন্দ্র চায় যাতে জনগণ শত্রুপক্ষের যেকোনও আক্রমণের সময় ভয় না পেয়ে সংগঠিতভাবে এবং প্রশিক্ষণ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক স্পষ্ট করেছে, এই উদ্যোগের লক্ষ্য জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানো নয়, বরং সচেতনতা বৃদ্ধি করা ও জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়ার ক্ষমতা গড়ে তোলা।

সকল নাগরিককে অনুরোধ করা হয়েছে, তাঁরা যেন মহড়ার সময় স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলেন এবং কোনও গুজবে কান না দেন। নিরাপত্তা রক্ষায় সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

spot_img

Related articles

চন্দননগর নয়! কোথা থেকে সূচনা বাংলায় জগদ্ধাত্রী পুজোর? জানুন ইতিহাস 

জগদ্ধাত্রী পুজোর নাম উঠলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে গঙ্গাপাড়ের শহর চন্দননগরের ছবি—চোখধাঁধানো আলোকসজ্জা, সুবিশাল প্রতিমা আর অসংখ্য দর্শনার্থীর...

চাপ দিয়ে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করা হয়: বিস্ফোরক নারদ মামলার প্রথম তদন্তকারী CBI আধিকারিক

বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি নারদ (Narada Case) মামলার প্রথম তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিক রঞ্জিত কুমারের (Ranjit Kumar)। একটি অডিও সাক্ষাৎকারে তিনি...

আসানসোলে চিটফান্ড কেলেঙ্কারির অভিযুক্তের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই, জানালো ঘাসফুল শিবির

আসানসোলে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে 'তৃণমূল নেতা'র নাম জড়িয়ে যে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা...

বোনের কাছে ভাইফোঁটা শোভনদেবের, টলিনায়িকারা ফোঁটা দিলেন অরূপকে

বাংলা জুড়ে আজ উৎসবের আমেজ। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রেটি সকলেই মাতলেন ভাইফোঁটা উদযাপনে। সকাল গড়িয়ে বিকেল তবু এখনও...