অপারেশন সিন্দুর সফল করার পরই পাকিস্তানের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় একাধিক বৈঠক চলছে ভারতে। অন্যদিকে পাকিস্তানও সীমান্তে আঘাতের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। পুঞ্চ (Poonch) লাগোয়া সীমান্তে গোলাগুলি শুরু করে পাক সেনা। আর্টিলিয়ারি বোমাবর্ষণও করা হয়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। অন্তত ৩৩ জন আহত হওয়ার দাবি কাশ্মীর প্রশাসনের। এর মধ্যে শিখ সম্প্রদায়ের তিনজনের মৃত্যু হয় একটি গুরুদ্বারায় (Gurdwara) পাক গোলা বর্ষণে।

লস্কর-এ-তৈবা (LeT) ও জইশ-ই-মহম্মদের (JeM) মূল ঘাঁটি ভারতের এয়ার স্ট্রাইকে গুঁড়িয়ে যাওয়ার পরে কার্যত দিশাহারা পাকিস্তান। তারা একমাত্র দুই দেশের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর হামলা চালানোর পথই বেছে নেয়। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ৯ জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারতীয় সেনার হামলার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপার থেকে পাকিস্তানি সেনা হামলা শুরু করে। সাধারণ নাগরিকদের ও তাঁদের বাড়ির উপর গোলা বর্ষণ করা হয়। সেই রকমই একটি মিসাইল এসে পড়ে পুঞ্চে রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) ফিল্ড স্টেশন দফতরের বাইরে। সৌভাগ্যক্রমে রাষ্ট্রসঙ্ঘের দফতরের কোনও ক্ষতি হয়নি।

তবে পুঞ্চে (Poonch) কেন্দ্রীয় গুরুদ্বারা (Gurudwara) শ্রী গুরু সিং সাভা সাহিবে মর্টার হানা চালায় পাকিস্তান। সেই হামলায় মৃত্যু হয় তিন শিখ গুরুর। প্রাণ হারান অমৃক সিং, অমরজিৎ সিং ও রণজিৎ সিং। আহত হন একাধিক শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ।
পুঞ্চের পাশাপাশি কুপওয়ারা (Kupwara) সেক্টরেও ভারতীয় সেনার ঘাঁটি লক্ষ্য করে গোলবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পাক সেনার হামলার পাল্টা গোলা বর্ষণ করে ভারতীয় সেনাও। সেই হামলায় অন্তত ১২ পাকিস্তানি সেনারও মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি ভারতীয় সেনার। তবে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হতে পারে, সেই আশঙ্কা করে সীমান্তবর্তী এলাকার গ্রামগুলি খালি করার নির্দেশ জারি করা হয়। দুপুর থেকেই দেখা যায় সেনাবাহিনী স্থানীয় বাসিন্দাদের সেনার গাড়িতে দূরবর্তী এলাকায় সরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করে।

–
–

–

–

–

–


–

–

–

–
