ভারতে হামলার চেষ্টার হাতেনাতে জবাব পেল পাকিস্তান। পাকিস্তানি হামলার চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে ত্রিফলা আক্রমণে নামল ভারত। ভারতীয় বায়ু সেনার পর (Indian Air Force), নৌবাহিনীও (Indian Navy) এবার অভিযানে যোগ দিল। পাকিস্তানকে (Pakistan) সবক শেখাতে আরব সাগরে থাকা আইএনএস বিক্রান্ত (INS Vikrant) করাচিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ শানিয়েছে। নৌবাহিনীর প্রত্যাঘাতের ফলে করাচি বন্দর-সহ গোটা শহর জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা।

হামলার আবহে দেশে ২৪টি বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হল। তালিকায় রয়েছে অমৃতসর, চণ্ডীগড়, শ্রীনগর, লুধিয়ানা, ভুন্টার, কিষেণগড়, পটীয়লা, সিমলা, কাংড়া-গগ্গল, ভাতিণ্ডা, জয়সলমের, জোধপুর, বিকানেল, হলওয়ারা, পঠানকোট, জম্মু, লেহ্, মুন্দ্রা, জামনগর, হিরাসর, পোরবন্দর, কেশোড়, কান্দলা, ভূজ।

‘অপারেশন সিন্দুর’–এর পর রাতেই আকাশপথে পাল্টা হামলার ছক করে পাকিস্তান। আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল জম্মু, সাম্বা, আরএস পুরা, আর্নিয়া–সহ একাধিক জায়গায়। কিন্তু ভারতীয় বায়ুসেনার এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৎপর হয়ে সবক’টি ধ্বংস করে দেয়। একইসঙ্গে জম্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে গুলি করে নামানো হয়েছে দুই পাকিস্তানি ড্রোন।

শুধু জম্মু নয়, সীমান্ত সংলগ্ন পঞ্জাবের বিভিন্ন অংশেও ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছে। পঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের ডেপুটি কমিশনার আশিকা জৈন জানিয়েছেন, বায়ুসেনা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শহরে ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত ‘ব্ল্যাকআউট’ চলবে। অমৃতসর. চণ্ডীগড়েও ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছে। বেজেছে সাইরেন।

সীমান্তেও চলছে গোলাগুলি। কুপওয়ারা, বারামুলা, উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার, রাজৌরি—এলওসি বরাবর পাকিস্তানের ভারী মর্টার ও কামান থেকে গুলি বর্ষণে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৬ জন নিরীহ মানুষ। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা ও পাঁচ শিশু। ভারত জানিয়ে দিয়েছে, “আমরা যুদ্ধ চাই না। কিন্তু সীমান্তে মর্টার চললে জবাব দিতে বাধ্য হব।”

আরও পড়ুন – রাজ্যের স্কুলগুলিতে বাড়ল গরমের ছুটি! কতদিন পর্যন্ত? জানুন
_

_
_

_

_

_

_

_

_
