সীমান্তের লাগাতার পাক গোলাবর্ষণ। নির্বিচারে হত্যা ভারতীয় নাগরিকদের। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার আহত সাধারণ মানুষ থেকে ভারতীয় সেনার (Indian Army) জন্য বিভিন্ন কাজে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান অত্যন্ত প্রয়োজন হয়। বারবার দেশের কঠিন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষই সেনা বা আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশাসনের কাজ সহজ করেছেন। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। চণ্ডিগড় (Chandigarh) প্রশাসন স্বেচ্ছাসেবকের ডাক দিতেই গোটা শহর জুড়ে সিভিল ডিফেন্সকে (Civil Defence) সাহায্য করতে জড়ো হলেন কয়েক হাজার যুবক-যুবতী।

পাকিস্তানের নির্লজ্জ আক্রমণে ভারতের একাধিক সীমান্ত রাজ্যে প্রাণহানি হয়েছে সাধারণ মানুষের। ফলে সহ নাগরিকদের জন্য পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত চণ্ডীগড়ের নাগরিকরা, তারই প্রমাণ তাঁরা দিলেন শনিবার। সিভিল ডিফেন্সে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে যোগদানের জন্য বিজ্ঞাপনের প্রচার হতেই শনিবার চণ্ডিগড়ের টেগোর থিয়েটারে জড়ো হন কয়েক হাজার মানুষ। বিভিন্ন পেশা থেকে বিভিন্ন এলাকার মানুষকে সকাল ৮টা থেকে সেখানে ভিড় করতে দেখা যায়। নির্বাচন প্রক্রিয়া ১২.৩০টা তে শুরু হলেও স্বেচ্ছাসেবক (volunterer) হিসাবে যোগ দিতে দুপুর পর্যন্ত যে ভিড় হয় সেখানে, তা প্রশাসনকেও উৎসাহিত করে।

মূলত জরুরি পরিস্থিতিতে সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা যেভাবে কাজ করেন, সেই ধরনের সাধারণ কিছু প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের (volunteer) নিয়োগ করার চিন্তা ভাবনায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে চণ্ডিগড় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন। তাতে সাড়া দিয়ে শুধুমাত্র পুরুষ স্বেচ্ছা সেবক নয়, একটি বড় সংখ্যায় মহিলাদেরও যোগ দিতে দেখা যায় শনিবার।

পাশাপাশি চণ্ডিগড় (CHandigarh) মেডিক্যাল কলেজ পিজিআইএমইআর-এর (PGIMER) পক্ষ থেকে শনিবার রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। জম্মু ও কাশ্মীরে পাক সেনার হামলায় ভারতীয় সেনার আহত হওয়ার ঘটনায় দিনে-রাতে অব্যাহত। সেই পরিস্থিতিতে রক্তের চাহিদা যে ব্য়াপক থাকবে, তা আন্দাজ করেই কাশ্মীরে মোতায়েন সেনাবাহিনীর জন্য রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়।

–

–
–

–
–

–

–

–

–

–
