প্রতিরক্ষায় পাকিস্তান যে পুরোপুরিভাবে চিনের উপর নির্ভরশীল ফের একবার প্রমাণ করে দিল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। আকাশপথে ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে চার-পাঁচ দিন ধরে লাগাতার যে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান তা যে চিনের (China) বলে বলিয়ান হয়েই ছবিসহ তথ্য তুলে ধরলেন ভারতীয় বায়ুসেনার ডিজিএমও (DGMO, Indian Air Force) এ কে ভারতী। ড্রোন (drone) থেকে মিসাইল (missile) – চিনে তৈরি ক্ষেপনাস্ত্রের ছবি তুলে পাক-চিন বন্ধুত্ব স্পষ্ট করে দেওয়া হল ভারতের তরফে।

আগেই ভারতীয় সেনার তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তান ভারতীয় সীমা অতিক্রম করে হামলা চালায়নি। তাদের হামলা হয়েছিল মূলত আকাশ পথেই। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে তিন সেনার প্রধান আরও একবার স্পষ্ট করে দেন আকাশপথে হামলা (areal strike) হবে, এই বিষয়ে তাঁরা প্রস্তুত ছিলেন। ভারতীয় সেনার ডিজিএমও (DGMO, Indian Army) রাজিব ঘাই ও নৌসেনা(DGMO, Indian Navy) ডিজিএমও এ এন প্রমোদ তুলে ধরেন স্থলপথ ও জলপথে কিভাবে হামলা প্রতিহত করা হবে, তার সমস্ত প্রস্তুতি রেখেছিল ভারতের তিন বাহিনী।

রবিবারই সাংবাদিক বৈঠক করে তিন সেনাপ্রধান জানান, ভারতের বিভিন্ন অংশে পাক হামলায় ব্যবহৃত মিসাইল (missile), ড্রোন ও অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্রের অংশবিশেষ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে বিস্তারিত পেশ করা হয়নি। শুধুমাত্র তুর্কির ক্ষেপণাস্ত্রের (Turkish munition) ছবি দেখিয়ে পাকিস্তান ও তুর্কির যোগ স্পষ্ট করা হয়েছিল রবিবার। দিনভর পঞ্জাব থেকে রাজস্থান – বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার পাক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস ও বিশ্লেষণের কাজ চালায় ভারতীয় সেনা।

এরপরেই সোমবার ডিজিএমও পর্যায়ের সাংবাদিক বৈঠকে ছবি দেখিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার ডিজিএমও এ কে ভারতী দাবি করেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া লং রেঞ্জ রকেট (long range rocket), মিসাইল (missile) বিশ্লেষণ করে জানা গিয়েছে সেগুলি চিনে (China) নির্মিত। এছাড়াও ড্রোন বা তৎসম ভ্রাম্যমান ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের আকাশে ধ্বংস করেছে ভারতীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। সেই ধ্বংসাবশেষ থেকেও প্রমাণ মিলেছে সেগুলি চিনে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র।

–
–

–

–

–

–


–

–

–

–
