যে ফোনটি পেয়ে উদভ্রান্তের মতো ছুটে গিয়েছিলেন সৃঞ্জয় দাশগুপ্তর মা রিঙ্কু মজুমদার, সেটি করেছিলেন তাঁর বান্ধবী। ফোনে তিনি জানান, “আন্টি শিগগিরি এসো। ও মনে হয় আর নেই।” মায়ের দ্বিতীয় বিবাহের পরে কিছুটা একা হয়ে গিয়েছিলেন সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতম- জানিয়েছেন মা রিঙ্কু। তিনি বলেন, রাতে প্রীতমের বান্ধবী ছিলেন ওই ফ্ল্যাটে।

সূত্রের খবর, সোমবার রাতে পার্টি হয় প্রীতমের বাড়িতে। ছিলেন তাঁর দুই সহকর্মী, যাঁর মধ্যে একজন বান্ধবী। রিঙ্কু জানান, “ওর কয়েকজন অফিস কলিগ ছিল। দুজন ছিল। তার মধ্যে একজন ওর বান্ধবী। গিয়ে দেখলাম ও যেন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। পাশের ফ্যাটের একজন ওর দেহ ম্যাসাজ করছিল যাতে জ্ঞান ফেরে। ওর ফ্ল্যাট থেকেই ফোন পেয়েছিলাম। বলল, আন্টি শিগগিরি এসো। ও মনে হয় আর নেই। ওই ফোন পেয়ে আমিই গাড়ি চালিয়ে ওর কাছে যাই। ওই গাড়িতেই ওকে নিয়ে গেলাম এক বেসরকারি হাসপাতালে।”

পরিবার সূত্রে খবর, এই বান্ধবীর সঙ্গেই কিছুদিনের মধ্যেই বিয়ের কথা ছিল প্রীতমের। দিলীপ-রিঙ্কুর বিয়ের সময়ও সেই খবর শোনা যায়। পড়শিরা জানাচ্ছেন, প্রিতমের বাড়িতে এসে থাকতেন তাঁর বান্ধবী। তাঁকে রান্না করে দিতেন। এদিন তিনিই রিঙ্কুকে ফোন করে ডেকে পাঠান।

কী হয়েছিল রিঙ্কুর পুত্রের? ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে না কি জানা গিয়েছে, Acute hemaragic pancreatitis এর ফলেই প্রীতমের মৃত্যু হয়। এছাড়াও লিভার, হার্ট স্বাভাবিকের থেকে বড় ছিল। রক্তচাপে সমস্যা থাকলে এই ধরনের লক্ষণ দেখা যায়- দাবি চিকিৎসকদের।

আরও পড়ুন – রাজ্যের পরিবহনে নতুন দিশা! ১ কোটিরও বেশি যাত্রা সম্পূর্ণ ‘যাত্রী সাথী’র
_

_

_

_

_


_

_

_

_

_